মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমি যে রাষ্ট্রে বাস করি সেখানে গণতন্ত্র রয়েছে। তারপরেও ধন্যবাদের সঙ্গে বলতে চাই, চীনে আমি যে ধরনের স্বাধীনতা দেখছি, তা সবসময়ই আমার জন্য ছিল আকাক্সক্ষার।
চীনের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক মার্কিন নাগরিক এখন বিশ্বাস করেন, চীনের মানুষ এ স্বাধীনতা পাচ্ছে তাদের কর্তৃত্বপূর্ণ শাসন ব্যবস্থার কারণে। তবে চীনের স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কিত একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে আমি মনে করি, আসল কারণ আরো অনেক বেশি বিস্তৃত। আমার গবেষণা বলছে, চীনের কর্তৃত্ববাদী নীতির কারণেই দেশটি করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়নি। এর আসল কারণ হচ্ছে, স্বাস্থ্যখাতকে চীনের অগ্রাধিকার প্রদান। সার্স সংক্রমণ থেকে চীন দারুণ শিক্ষা পেয়েছে। এটি ছিল এ শতাব্দীর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারী। এক বছরেরও কম সময় পূর্বে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। তিন মাসেরও কম সময়ে দেশটিতে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। প্রাণ হারান এরমধ্যে তিন হাজার। জানুয়ারির শেষ সময়ে গিয়ে চীনা সরকার উহান শহরে লকডাউন ঘোষণা করে। এর ১১ মিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণ আবদ্ধ হয়ে পড়েন। শহর থেকে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কর্তৃপক্ষ আরো বেশ কয়েকটি শহর পুরোপুরি লকডাউন করে দেয়। এতে পর্যায়ক্রমে ৫০ মিলিয়ন মানুষ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এপ্রিল মাস আসতে আসতেই চীন সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থামিয়ে ফেলে। উহানসহ অন্য শহরগুলোর ওপর থেকে বাধানিষেধ সরিয়ে নেয়া হয়।
গত ৭ মাসে চীনে মাত্র ৯ হাজার ১০০ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আরো ১ হাজার ৪০৭ জন। চীনের মানুষ এখন ঘুরছেন, রেস্তোরাঁয় খাচ্ছেন, সিনেমা হলে যাচ্ছেন এবং সেখানকার শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। এরমধ্যে সর্বশেষ ১০ লাখ আক্রান্ত হয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যেই।
২০০২ সালে প্রথম সার্স সংক্রমণ দেখা দেয়। ২০০৩ সালেই এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চীন এ মহামারির জন্য একদমই প্রস্তুত ছিল না। দেশটির স্বাস্থ্যখাত কোনোভাবেই এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম ছিল না। প্রথমদিকে স্বাস্থ্যখাতের থেকে অর্থনীতি ও রাজনীতিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিল চীন। তবে এটি কাজ করেনি। এরপর চীনা নেতারা বেইজিংসহ বেশ কিছু এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেন। এর কয়েক মাসের মধ্যেই মহামারি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সার্স শুধুমাত্র ৮ হাজার মানুষকে সংক্রমিত করতে পেরেছিল। এ মহামারি থেকেই দারুণ শিক্ষা পেয়ে যায় চীন। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি জনগণের স্বার্থে স্বাস্থ্যখাত ঢেলে সাজাতে শুরু করে। যখনই প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পরে দেশটি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং মাত্র তিন মাসের মধ্যেই মহামারী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। সূত্র : এলানাহ উরেতস্কাই-এর কলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।