মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত ফেব্রুয়ারিতে তালেবানদের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে আফগানিস্তানে কমপক্ষে ১০টি ঘাঁটি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন পোস্ট শুক্রবার একথা জানিয়েছে। মার্কিন ও আফগান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পোস্ট জানিয়েছে, এসব ঘাঁটি বন্ধ হয়ে যাওয়া চুক্তিতে বর্ণিত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অংশ।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি ঘাঁটি পুরোপুরি আফগান নিরপত্তা বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা হয় এবং অন্যগুলো খালি করা হয়। তবে ‘প্রয়োজনে যদি তারা আবারও দখল করতে পারে এমন জায়গায় রেখে দেয়া হয়’। প্রতিবেদনে আরো যোগ করা হয়েছে, ‘বন্ধ থাকা প্রতিটি স্থাপনায় কত সরঞ্জাম বাকি রয়েছে তাও অস্পষ্ট।
ট্রাম্প প্রশাসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পদ ছাড়ার কয়েক দিন আগে, ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে সৈন্য সংখ্যা আনুমানিক ৫ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’-এ নামানোর পরিকল্পনা করেছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, প্রত্যাহারের আদেশ সত্তে¡ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান বাহিনীর প্রতিরক্ষায় তালেবানদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর সক্ষমতা বজায় রাখতে চাইবে। মার্কিন সেনারাও ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে কিছু সন্ত্রাসবাদ বিরোধী হামলা চালাতে সক্ষম থাকবে’।
প্রত্যাহারের তারিখ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পেন্টাগন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চ‚ড়ান্ত করতে ব্যস্ত, যার মধ্যে ‘আর কোন ঘাঁটি বন্ধ হবে, কোন সরঞ্জাম আফগান সরকারের হাতে দেয়া হবে এবং মার্কিন সরঞ্জামগুলো কীভাবে ছেড়ে চলে যেতে টিকিট দেয়া হবে’। ন্যাটোর সহযোগী ও আফগানিস্তান উভয় অংশীদারদের পরামর্শেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও পোস্টকে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি, ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছিলেন যে, ‘হঠাৎ প্রস্থান আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়স্থলে পরিণত করার সুযোগ দেবে’। কাবুলের সরকার আশা করছে যে, আসন্ন বাইডেন প্রশাসন সেনাবাহিনী তুলতে ততটা আগ্রহী নাও হতে পারে যেমন বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসন ছিল এবং এটি তালেবানদের ওপর আরো কঠোর হবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এক দশক আগে মার্কিন সেনাবাহিনীর উত্থানের উচ্চতায় আফগানিস্তানে শত শত মার্কিন ঘাঁটি এবং আউটপোস্ট ছিল এবং সা¤প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক বাহিনী সদস্যদের উপস্থিতি সঙ্কুচিত করা হয়েছ।
‘আরও নিবিড় অবস্থান থেকে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, একাধিক ছোট ফাঁড়ির পরিধি সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা উদ্ধার করার জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তার সেনাবাহিনীকে তার বৃহৎ সামরিক স্থাপনাগুলোতে ফিরিয়ে দিচ্ছে’।
ইউএস-তালিবান চুক্তির পরপরই ঘাঁটিগুলো বন্ধ হয়ে যায়, এর মধ্যে রয়েছে উরুজগান প্রদেশের তারিন কোট, হেলমান্দের বোস্ট, লাঘমনের গামবেরি এবং পাখতিয়ার লাইটেনিং। চলতি বছরে বন্ধ হওয়া অন্যসব ঘাঁটির মধ্যে রয়েছে- কান্দাহার জোনস, নাঙ্গাহারের ডিলেঙ্কার, বালখের শাহীন, কাবুলের বিশপ, ফরিবের মায়মানা এবং জাবুলের কলাত। এমনকি কান্দাহার এয়ারফিল্ড এবং জালালাবাদ এয়ার বেসের মতো এককালে দেশের বৃহত্তম ঘাঁটিগুলোতে এখন কেবল কয়েকটি মুখ্য মার্কিন সেনা রয়েছে, রিপোর্টে আরও বলা হয়। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।