মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় সংসদের কৃষি আইন পাশের পর থেকে আন্দোলন জোরদার হয়। সারাদেশের মতো সেদেশের রাজধানী দিল্লিতে ঢুকে পড়েছে কৃষক। এবার এই আইনের বিরুদ্ধে প্রকাশে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অনেক কৃষক।
ভারতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে কৃষক অসন্তোষ ক্রমে দানা বাঁধছে। পাঞ্জাব বা হরিয়ানা শুধু নয়, অন্যান্য রাজ্যেও কিন্তু কৃষক মনে অসন্তোষ ক্রমে তীব্র আকার নিচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন ঘিরে চরম উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার ওডিশায় তিন প্রতিবাদী কৃষক আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন।
ওডিশা বিধানসভার সামনেই কটকের ওই তিন চাষি গায়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন। বিধানসভায় এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। ফলে কঠোর নিরাপত্তা রয়েছে। কিছু একটা ঘটতে চলেছে আন্দাজ করে নিরাপত্তারক্ষীরা দৌড়ে আসেন। তারাই তিন কৃষককে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত করেন। পরে ওই কৃষকদের আটক করা হয়।
তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদেই বিধানসভা ভবনের সামনে এসে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। জেলা সমবায় ব্যাংকে ঋণের অনিয়ম নিয়েও তারা অসন্তোষের কথা জানান। অভিযোগ, সমবায় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনো কাজ কিছু হয়নি। তাই কৃষকেরা প্রশাসনের নজরে আনতে চেয়েছিলেন।
গত চার দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ওডিশা বিধানসভার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার নয়াগড় জেলার এক দম্পতি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই দম্পতি নাবালিকা মেয়ের খুনের ন্যায়বিচার দাবি করে আসছেন। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণেই তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ দিকে, পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান উপেক্ষা করে কৃষকেরা তাদের আন্দোলনে অনড় রয়েছে। দিল্লির একাধিক সীমানায় তারা অবস্থান করছেন। এর মধ্যে একাধিকবার ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানী অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টাও করেছেন। কৃষক সংগঠনগুলোর বক্তব্য, কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না-হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
কৃষকদের অনড় মনোভাবের কারণে শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাদের দিল্লিতে ঢোকার অনুমতি দেয়। তবে, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দেওয়া হয়নি। বুরারির নিরঙ্কারী ময়দানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভে শামিল আর এক কৃষকের কথায়, “কভিড-১৯ গাইডলাইনের কথা বলে পুলিশ আমাদের প্রতিহত করতে চেয়েছিল। কিন্তু, আমরা সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েই দিল্লি অভিযানে শামিল হয়েছি। কেন্দ্রীয় আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।