নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। ফুটবল থেকে ক্রিকেট সর্বত্র পড়েছে শোকের ছায়া। খেলাধুলার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সচেতন ছিলেন ফুটবল জাদুকর দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল বাম ঘরনার। কিউবার বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো, স্বদেশী বিপ্লবী চে গুয়েভারার রাজনৈতিক দর্শনের প্রতি তিনি ছিলেন ভীষণ অনুরক্ত।
কী কাকতাল! সেই রাজনৈতিক গুরু ফিদেলের বিদায়ের দিনেই বিদায় নিলেন তিনি। ২০১৬ সালের এই দিনে (২৫ নভেম্বর) মৃত্যুবরণ করেন কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো। আর তার ঠিক চার বছর পর আজ একই দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ম্যারাডোনাও।
গতকাল বুধবার তিগ্রে-তে নিজ বাসায় মারা যান ম্যারাডোনা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। গত মাসে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন জ্বলে ওঠে, তেমনই হেসে উঠেছিলেন ম্যারাডোনাও। আশা জেগেছিল ভক্তদের মনে, সেরে উঠবেন ফুটবল গ্রেট। কিন্তু, সেই আশায় গুড়ে বালি। এবার চিরতরে বিদায় জানালেন পৃথিবীর মাঠকে।
কিউবায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যাস্ত্রোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে ম্যারাডোনার। আর সেই বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরুপ নিজের বাম পায়ে ক্যাস্ত্রোর ছবিযুক্ত ট্যাটুও করিয়েছিলেন তিনি, আর ডান হাতের বাহুতে ছিল চে গুয়েভারার ছবিযুক্ত ট্যাটু।
এমনকি ম্যারাডোনা তার আত্মজীবনী ‘ইয়ো সোই এল দিয়াগো’ (আমিই দিয়াগো) যে কয়েকজন মানুষের প্রতি তাদের মধ্যে ফিদেল ক্যাস্ত্রো অন্যতম। বইটির উৎসর্গ পত্রে তিনি লিখেছেন ‘ফিদেল ক্যাস্ত্রোর প্রতি এবং তার মাধ্যমে কিউবার সকল মানুষের প্রতি।’
একইসাথে তিনি প্রাক্তন ভেনিজুয়েলিয়ান প্রেসিডেন্ট হুগো চ্যাভেজের সমর্থকও ছিলেন। তিনি চ্যাভেজের সাথে সাক্ষাৎ শেষে জানান, চ্যাভেজ মহানের চেয়েও বেশি মহান।
২০০৭ সালে ম্যারাডোনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি চ্যাভেজে বিশ্বাসী, আমি চ্যাভিস্তা। ফিদেল যা করে, চ্যাভেজ যা করে, আমার কাছে সেগুলোই ঠিক।’
২০০৭ সালের আগস্টে চ্যাভেজের সাথে একটি সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে যা আসে তার সবকিছুই আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে ঘৃণা করি।’
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে ম্যারাডোনা সম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ইরানের জনগণকে সমর্থন জানানোর জন্য একটি স্বাক্ষরকৃত শার্ট উপস্থাপন করেন।
ম্যারাডোনার কারণে বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেকখানি। সেই ম্যারাডোনার হৃদযন্ত্র যখন থেমে যায় তখন বাংলাদেশের খেলাধুলাপ্রিয় মানুষের মনও দুঃখী ও ভারাক্রান্ত। তাই তো স্বাভাবিক। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।