Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থনীতিতে গতি আনতে নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ১:৫২ পিএম

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনেও করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব পড়েছে বেশ জোরেশোরেই। তবে সেই ধাক্কা সামলাতে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে চীনারা। ইতোমধ্যেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে তারা। এবার অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে একগুচ্ছ নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) চীনের স্টেট কাউন্সিল বা মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কিছু পরিকল্পনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চীনা স্টেট কাউন্সিলের প্রধান লি কেকিয়াং।
বুধবারের বৈঠকে চীনে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির এই ধারা আরও গতিশীল করতে বেশ কিছু কৌশলগত পরিকল্পনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে ক্রয় সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনায় চীনের গ্রামাঞ্চলে গাড়ি কিনতে ক্রেতাদের উৎসাহিত করা হবে এবং পুরনো গাড়ি বদলে নেয়ারও সুযোগ দেয়া হবে। বিভিন্ন স্থানে পার্কিং লট এবং চার্জিং পাইল (ইলেক্ট্রিক গাড়ি চার্জ দেয়ার জায়গা) নির্মাণ বাড়ানো হবে। যেসব অঞ্চলে অনুমতি রয়েছে, সেখানে পুরোনো স্থাপনাগুলোর জন্য গ্রিন স্মার্ট প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র কেনায় ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবেশন খাতে সেবাদাতাদের মেন্যু উন্নত করা বা এতে বৈচিত্র্য আনতে উৎসাহিত করা হবে। পাশাপাশি, সেবার মানও বাড়ানো হবে। বিভিন্ন কাউন্টি, গ্রাম ও উপ-শহরগুলোতে ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণে আরও গতি আনার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। স্থানীয় বাজারগুলোতে ভুয়া বা নিম্নমানের পণ্যের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে তারা।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১৯ সালে দেশটির মোট খুচরাপণ্য বিক্রিতে ২৫ শতাংশ অবদান নেখেছে অটোমোবাইল, গৃহস্থালি পণ্য, আসবাবপত্র, নির্মাণসামগ্রী ও পরিবেশন খাত। চীনের মোট খুচরাপণ্য বিক্রিতে গ্রামাঞ্চলে বিক্রির অবদান আরও কম, ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ মাত্র।
মহামারির কারণে বছরের মাঝামাঝি এসে চীনে মোট খুচরাপণ্য বিক্রি কিছুটা কমলেও শেষের দিকে আবারও তা বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরের তুলনায় এবারের অক্টোবরে দেশটিতে মোট খুচরাপণ্য বিক্রি বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
তবে এসব পদক্ষেপের মধ্যে কিছুটা বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ইন্টারনেট প্লাস ট্যুরিজমে। দেশটির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক মানচিত্র, অডিও গাইডের মতো অত্যাধুনিক সেবা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ডিজিটাল এক্সিবিশন ভেন্যু তৈরিতেও উৎসাহিত করছে চীন সরকার।
লি কেকিয়াং বলেন, ইন্টারনেট প্লাস ট্যুরিজমের মডেলটি ভোক্তা চাহিদা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কার্যকর প্রমাণিত ব্যবস্থাগুলোর প্রসার ঘটানো হবে। তবে দূরদর্শী নিয়মকানুন বাড়ানোর পাশাপাশি জোচ্চুরি-প্রতারণাও প্রতিরোধ করতে হবে। সূত্র : সিনহুয়া



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ