থাইল্যান্ডে পার্লামেন্টের বাইরে সরকারবিরোধী ও রাজতন্ত্রের অনুসারী দুই পক্ষে লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় নদীর পাশে অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবন থেকে এমপিরা নৌকায় স্থান ত্যাগ করেন। যুক্তরাজ্যের ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশটিতে সাবেক সামরিক শাসকদের তৈরি সংবিধান সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূত চান ও-চার পদত্যাগ দাবিতে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্যাংককের একটি জরুরি সেবাকেন্দ্র। মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ব্যাংককে এ ঘটনা ঘটে।

ওই সংঘর্ষে গুলির আঘাতে আহত পাঁচজন চিকিৎসা নিয়েছেন, যাঁদের দুজন শিক্ষার্থী। গত জুলাই থেকে তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনে গতকাল সবচেয়ে সহিংস সংঘর্ষ দেখা যায়।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের চাহিদা মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক করার কথা ভাবছিলেন আইনপ্রণেতারা। সংবিধান পরিবর্তনের জন্য আইনপ্রণেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হন। কিন্তু সেখানে বিক্ষোভকারীদের কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে রাখা হয়। পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সংরক্ষিত এলাকা ভাঙার চেষ্টা চালালে পুলিশ জলকামান ব্যবহারে বাধ্য হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে প্রাউত চান-ওচা ২০১৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির ক্ষমতায় বসেন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ পুরোপুরি সামরিক জান্তার অধীন।

এদিকে পুলিশ গুলি বা রাবার বুলেট নিক্ষেপ অস্বীকার করে জানায়, কারা গোলাগুলি করেছে সে বিষয়ে তারা তদন্ত করছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান