নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তানে সময়টা ভালোই উপভোগ করছেন তামিম ইকবাল। উপভোগের সবচেয়ে বড় কারণ অবশ্যই তার দল লাহোর কালান্দার্সের পিএসএলের ফাইনালে ওঠা। দল সাফল্য পেলে আর কী চাই! তবে পাকিস্তানকে তামিমের ভালো লাগছে অন্য কারণেও। ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি ওপেনার বলেছেন, করোনার কারণে সময়টা এখন অন্য রকম হলেও পাকিস্তান সফর বরাবরই উপভোগ করেন তিনি, ‘পাকিস্তানে আসতে সব সময়ই ভালো লাগে। তবে এখন সময়টা ভিন্ন। জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে হোটেলে থাকতে হচ্ছে, শুধু নির্দিষ্টভাবে কিছু জায়গায় যেতে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি উপভোগ করা না গেলেও নিয়ম তো মানতেই হবে। পাকিস্তান চমৎকার একটি দেশ, আমাদের দেশের মতোই এখানে ক্রিকেটের প্রচুর সমর্থক, তারা ক্রিকেট ভালোবাসে।’
প্লে-অফে ক্রিস লিনের বিকল্প হিসেবে তামিমকে নিয়ে এসেছে লাহোর। পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে প্রথম এলিমিনেটরে ১ ছক্কা ও ২ চারে ১০ বলে ১৮ রান করেন তামিম। পরের এলিমিনেটরে ৫ চারে ২০ বলে করেন ৩০ রান। দুই ইনিংসেই তামিমের শুরুটা ছিল আশা–জাগানিয়া। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। লাহোরের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘লাহোর খুবই পেশাদার দল, বিশেষ করে এই আইপিএলে খুব ভালো করছে। আশা করি, আমরা শিরোপা জিততে পারব। আমাদের দল খুব ভালো, বিশেষ করে বোলিংয়ে।’
করাচিতে গতকালই পিএসএলের ফাইনালে করাচি কিংসের মুখোমুখি হয় তামিমদের লাহোর। ম্যাচ শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত ম্যাচটি চলছি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দর্শকহীন মাঠেই হয়েছে পিএসএল। সাক্ষাৎকারে তামিম কথা বলেছেন এই অভিজ্ঞতা নিয়েও, ‘দর্শক ছাড়া খেলার অভিজ্ঞতা অন্য রকম। বাউন্ডারি মারলে কিংবা উইকেট পড়লে হাততালি দেওয়ার কেউ নেই। কিন্তু জীবন এমনই। মানুষের নিরাপত্তার জন্যই এভাবে চলতে হবে। তবে লোকে কিন্তু টেলিভিশনেও খেলা দেখতে পারছে।’ এর ফাঁকে তামিম পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বাংলা ভাষাও শেখাচ্ছেন। পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তামিম বলেছেন, ‘আমরা দুই ভাষাতেই কথা বলার চেষ্টা করি। ইংরেজির সঙ্গে কিছু উর্দুও বলার চেষ্টা করি। আমি জানি না কতটা ভালো আমি উর্দুতে। আমিও তাদের কিছু বাংলা শেখানোর চেষ্টা করি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু বাংলা পারেও।’ তামিমকেও সাক্ষাৎকারে উর্দু বলতে বলা হয়। কৌশলে এড়িয়ে যেতে চাইলেও দুই লাইন উর্দু বলতে হয় তামিমকে, ‘আমি উর্দু বলতে পারব না, কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমি কেবল বাংলা অথবা ইংরেজি বলতে পারব। কিন্তু আমি সামান্য কিছু বলতে পারি, আমি হয়তো এক দুইটা শব্দ বলতে পারব।’ এরপর উর্দুতে বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমাদের দলের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন জিততে পারি।’
পাকিস্তান ক্রিকেটের বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে তামিমের। পিএসএলে এখন তাঁদের পক্ষে-বিপক্ষে খেলছেন। এদিক থেকে তামিম নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন, ‘এটা আমার সৌভাগ্য যে বেশ কিছু সেরা পাকিস্তানি তারকার সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। নাম ধরে বলতে গেলে শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক; ঢাকা লিগের একটি ম্যাচে মোহাম্মদ ইউসুফের সঙ্গেও খেলা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক পাকিস্তানি আছেন। তারা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সোনার মতো। তাঁদের সঙ্গে খেলা ও মজা করা দারুণ ব্যাপার।’
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে আফ্রিদিই তামিমের বেশি ঘনিষ্ঠ। পিএসএলে তামিম প্রথম খেলেছিলেন আফ্রিদির দল পেশোয়ার জালমির হয়ে। তামিমের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বিপিএল জেতাতেও সাহায্য করেছেন আফ্রিদি। তামিম বলছিলেন, ‘তারা সবাই ভালো, মজার লোক। শোয়েব মালিক অনেক মজার মানুষ, শাদাব খানও। শহীদ আফ্রিদি বড় ভাইয়ের মতো। তার সঙ্গে আমরা খুব বেশি মজা করি না। তিনি আমাদের বড় ভাইয়ের মতো। সব সময় আমাকে সমর্থন দেন। আমি যখন পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলেছি প্রথমবার পিএসএলে, তিনি আমার অধিনায়ক ছিলেন। ২০১৮ সালে আমরা বিপিএল শিরোপা জিতেছি, তিনি আমাদের অনেক বড় অংশ ছিলেন। তিনি এমন একজন, যিনি আমাকে এই যাত্রায় সব সময় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।