নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজ নিয়ে এর মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। আলোচনা আরও বেড়েছে বিরাট কোহলির একটি সিদ্ধান্তে।
সন্তানসম্ভবা স্ত্রী আনুশকা শর্মার পাশে থাকতে পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে সিরিজের মাঝপথেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তারকা। দেশকে এগিয়ে না রেখে কোহলি কেন ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধা দেখছেন, সেটা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে খোদ ভারতেই। সাবেক তারকারাও কোহলির অনুপস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন। বাদ নেই অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও। হাজারো সমালোচনার ভিড়ে ল্যাঙ্গার অবশ্য কোহলির পাশেই দাঁড়িয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বরাবরই দুর্দান্ত বিরাট কোহলি। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ভারত সম্পূর্ণ দুই ধরনের সময় কাটিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু কোহলি দুবারই ছিলেন দুর্দান্ত। দুবারই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বড় রান করেছেন বিরাট কোহলি। শেষবার তো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জিতে গড়েছেন ইতিহাস।
এবার পুরো অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অপেক্ষায় ছিল কোহলির লড়াই দেখতে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। কোহলি খেলবেন শুধু একটি। এ খবরে ল্যাঙ্গারের খুশি হওয়ারই কথা। হাজার হোক, টেস্ট সিরিজ জয়ের পথে সবচেয়ে বড় কাঁটাটা যে নিজে থেকেই সরে যাচ্ছে শেষ তিন টেস্টে!
ল্যাঙ্গার খুশি হয়েছেন কি না, সেটা সেভাবে জানা না গেলেও কোহলির সিদ্ধান্তের পেছনের আবেগটা ঠিকই বুঝেছেন সাবেক এই ওপেনার। স্ত্রীর এই সময়ে কোহলির এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া শতভাগ সঠিক বলে তিনি মনে করেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত যে কোহলি নিয়েছে, এ জন্য ওর প্রতি অনেক সম্মান জানাই। সে-ও আমাদের মতো মানুষ।’
তার নিজের দলের কেউ এমন পরিস্থিতিতে পড়লে একই কথা বলতেন ল্যাঙ্গার? অস্ট্রেলিয়া কোচ এ ব্যাপারে নিঃসংশয়, ‘আমাকে যদি বলা হতো এ নিয়ে আমার কোনো খেলোয়াড়কে পরামর্শ দাও, আমি অবশ্যই বলতাম এমন সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে। কখনোই নিজের সন্তানের জন্মের সময়টা মিস করা উচিত না। সারা জীবনে আপনি অনেক অসাধারণ কাজ করবেন, আর এটা ওই কাজগুলোর মধ্যে একটা।’
তবে কোহলি না থাকলেও ভারত দলকে যে একদম হালকাভাবে নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই, সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছেন ল্যাঙ্গার, ‘কোহলির অনুপস্থিতি অবশ্যই সিরিজের ফলাফলে প্রভাব ফেলবে। তাই বলে গা ছাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা জানি ভারত আমাদের শেষবার হারিয়েছিল। তারা অনেক অনেক ভালো একটা দল। বিরাট কোহলি নেই বলে আমরা এক সেকেন্ডের জন্যও গা ছাড়া দিতে পারি না।’
ওদিকে কোহলির দেশকে প্রাধান্য না দিয়ে পরিবারকে বেছে নেওয়াকে ভালো চোখে দেখছেন না অনেক ভারতীয় সমর্থক। মহেন্দ্র সিং ধোনির উদাহরণ টেনে কোহলির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হচ্ছে। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের সময় প্রথম সন্তানের বাবা হন ধোনি। তখন ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে না গিয়ে ধোনি থেকেছেন দলের সঙ্গে। বিশ্বকাপের সময় ধোনিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখন জাতীয় দায়িত্বে। বাকি সব অপেক্ষা করতে পারবে। এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।