পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ তালীমে হিযবুল্লাহ’র আমীর সোনাকান্দা দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মাহমুদুর রহমান বলেছেন, সারাবিশ্বে মুসলমানদের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ইহুদি নাছারারা ভীত হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবে সকল ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্ন করে ইসলামের বিজয় হবেই। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যে দিন আমেরিকার হোয়াইট হাউজে ইসলামের পতাকা, কালেমার পতাকা পতপত করে উড়বে। ব্রিটেনের বড় বড় অট্টালিকায় কলেমার পতাকা উড়বে।
ফ্রান্স সরকারের মদদে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর কল্পিত ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের পর বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
মাওলানা মাহমুদুর রহমান বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে, ক্ষত বিক্ষত মন নিয়ে, দ্বীনি দায়িত্ব পালনে এখানে একত্রিত হয়েছি। ফ্রান্স সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রিয়নবীর কল্পিত ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে আমাদের হৃদয়ে আঘাত করা হয়েছে। আমাদের হৃদয়কে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। নবীজীকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র আগেও হয়েছে। কিন্তু এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই সফল হবে না। উল্টো যারা নবীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করছে তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট বলেছেন, যারা আল্লাহ এবং রাসুলকে (সা.) কষ্ট দেবে, রাসুলকে নিয়ে কটূক্তি করবে তাদেরকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাঁখওকে আবুজাহেল ও ওয়ালিদ ইবনে মুগীরার উত্তরসুরী উল্লেখ করে সোনাকান্দা দরবারের পীর সাহেব বলেন, এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন, তা না হলে মুসলমানদের হাতে চরম অপমানিত হতে হবে। ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন ও সে দেশের পণ্য বর্জনেরও তিনি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এটা দেখে মুসলিম বিরোধীরা ভীত হয়ে নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করছে। তবে কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন আমেরিকার হোয়াইট হাউজে ইসলামের পতাকা, কলেমার পতাকা পতপত করে উড়বে। ব্রিটেনের বড় বড় অট্টালিকায় কলেমার পতাকা উড়বে। জার্মানির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে হারে মুসলামানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ২০৭০ সালে জামার্নি হবে মুসলমানদের দেশ।
মাওলানা মাহমুদুর রহমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নবীজীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা ও অবমাননারকারীর মৃত্যুদন্ডের বিধান করে সংসদে আইন পাশ করতে হবে। আমরা আপনাদের সাথে থাকবো। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান মুসলামনদের পক্ষে ভূমিকা রাখছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনিও মুসলমানদের পক্ষে ভূমিকা রাখুন। এদেশের আলেম ওলামা এবং মুসলিম জনতা আপনার সাথে সব সময় থাকবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, তালীমে হিযবুল্লাহ’র মহাসচিব মুফতি মুতাতিলব হোসেন সালেহী, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন, যুব কাফেলার সেক্রেটারি হযরত মাওলানা মিজানুর রহমান মাহমুদী, ছাত্র কাফেলার সভাপতি, সাইদুল ইসলাম আলামিন প্রমুখ।
বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর কল্পিত ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ উপলক্ষে সকাল এগারটা থেকে মুসুল্লিরা বায়তুল মোকাররমে জড়ো হতে শুরু করে। দুপুর ১২টার মধ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ ছাড়া কুমিল্লার সোনাকান্দা থেকেও কয়েক হাজার মুসল্লি প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিতে আসেন। মসজিদে যখন খতিবের বয়ান চলচ্ছিল তখন হঠাৎ তিন তলায় আগুন লেগেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। মুসল্লিরা তখন ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে খুৎবা শুরু হয়। তবে এসময় সাউন্ড ছিল না। নামাজও সাউন্ডসিস্টেম ছাড়াই সম্পন্ন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।