পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিতর্কিত অঞ্চল নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে দীর্ঘ ছয় সপ্তাহের তুমুল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ফের রাশিয়ার মধ্যস্ততায় শান্তিচুক্তি করেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। এর আগে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় আরও তিনবার শান্তি চুক্তি হলেও তা মানেনি কোনো পক্ষই।
তবে এবার তুরস্ক আর্মেনিয়াকে সতর্ক করে বলেছে, ‘আর্মেনিয়া যদি কোনোভাবে চুক্তিভঙ্গ করে, তা হলে তার ফল ভুগতে হবে। তুরস্কের সেনা আর্মেনিয়াকে শিক্ষা দেবে।’ বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে ভাষণে এই হুঁশিয়ারি দেন। বলেছেন, বিতর্কিত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠাই রাশিয়ার পাশাপাশি তুরস্কও সৈন্য পাঠাবে।
এদিকে রাশিয়ার মধ্যস্ততায় এই শান্তিচুক্তি মানছেন না আর্মেনিয়ার সাধারণ জনগণ। তারা সমগ্র দেশে বিক্ষোভ করছে এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন। গেল সোমবার রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়। যেখানে আপাতত যুদ্ধ বন্ধের একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। চুক্তিতে কার্যত জয় হয়েছে আজারবাইজানের। কারণ, নাগরনো-কারাবাখের অধিকাংশ এলাকা এখন আজারি সেনার হাতে। চুক্তিতে স্থির হয়েছে, নাগরনো-কারাবাখে যে যেখানে অবস্থান করছে, সেই এলাকা তার বলে বিবেচিত হবে। আর্মেনিয়া যেহেতু কার্যত এলাকা থেকে জমি হারিয়েছে, ফলে আজারি বাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে।
শান্তি বজায় রাখার জন্য রাশিয়ার মধ্যস্থতায় তিন দেশের চুক্তির পর রাশিয়া প্রায় দুই হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে নাগরনো-কারাবাখে। তুরস্ক জানিয়েছে, তারাও সেখানে সেনা পাঠাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।