Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ সময়ে বোঝাপড়ায় আসতে পারে ব্রিটেন ও ইইউ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২০, ৬:১১ পিএম

ইইউ-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে। তবে আগামী সপ্তাহে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগেই দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করতেই হবে।

চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে বোঝাপড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। চুক্তির খসড়া স্থির হলে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে সেটি অনুমোদন ও কার্যকর করার প্রক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে এমন সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। এবার সেই সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনি বুধবার জানান, আগামী সপ্তাহেও আলোচনা চলবে বলে তিনি মনে করছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত না হলে তিনি গুরুতর সমস্যার আশঙ্কা দেখছেন। তার মতে, অগ্রগতির অভাবে আলোচনা আগেই ভেঙে যেতে পারে অথবা নির্ধারিত সময়ের আগেও আচমকা সাফল্য আসতে পারে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত বোঝাপড়া সম্পর্কে আশাবাদী।

উল্লেখ্য, এর আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ইইউ ও ব্রিটেনের সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, যে কমপক্ষে আগামী সপ্তাহান্ত পর্যন্ত আলোচনা চলবে। তাই ইইউ-র ২৭টি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আগামী ১৬ নভেম্বরের বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আগামী ১৯ নভেম্বর ইইউ শীর্ষ নেতাদের ভার্চুয়াল সম্মেলনের আগে চুক্তি চূড়ান্ত হতেই হবে। তা না হলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট অনিবার্য হয়ে পড়বে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত খসড়া হাতে পেলে ১৬ ডিসেম্বর সেটি অনুমোদনের পরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র আলোচনার নতুন মেয়াদ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি। তিনি বলেন, মতপার্থক্য কাটিয়ে তুলতে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদল কঠিন পরিশ্রম করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে জাতীয় আইন শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা হবে না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেন নি। ইইউ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ব্রিটেন আগের চুক্তির শর্ত ভাঙলে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হলেও সেটি কার্যকর করা হবে না।

এমন অনিশ্চয়তার ফলে ব্রিটেনের ব্যবসাবাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা কোনো পরিকল্পনা করতে পারছেন না। ব্রিটিশ সরকার এক টাস্ক ফোর্স গঠন করে তাদের আশ্বস্ত করতে চাইছে। শেষ পর্যন্ত চুক্তি সম্ভব না হলে ইইউ-র সঙ্গে বাণিজ্যের পথে শুল্কসহ নানা বাধাবিপত্তি সামলাতে ব্রিটিশ সরকার সহায়তার অঙ্গীকার করছে। বৃহস্পতিবার সেই টাস্ক ফোর্সের প্রথম অনলাইন বৈঠক বসবে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের যোগাযোগ দফতরের প্রধান লি কেইন আচমকা পদত্যাগ করায় সরকারের মধ্যে অস্থিরতার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। জনসন ও তার উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস-এর অত্যন্ত অনুগত বলে পরিচিত এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার বিদায়ের ফলে ক্ষমতাসীন টোরি দলের মধ্যে অসন্তোষের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সূত্র: রয়টার্স, ডিপিএ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইইউ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ