Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধলেশ্বরীর ভয়াল রূপে কাঁদছে কৃষক ধুকে ধুকে

সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৩৭ এএম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর,খাসকান্দি ও বাসাইল ইউনিয়নের চরকুন্দলিয়া গ্রামের প্রায় ১৫শ হেক্টর আবাদি জমি ১০ বছরে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর ভাঙ্গনের পরিমাণ অনেক বেশি। আগাম সবজির এ গ্রামগুলোর কৃষক এখন আতঙ্কে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চান্দেরচর, খাসকান্দি, চরকুন্দলিয়া গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছে । এর মধ্যে অনেকে জমি হারিয়ে নিঃস্ব আবার অনেক কৃষক ফসল হারিয়ে লোকসানের কবলে পড়েছে। এ ভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ঘর,স্কুল,মসজিদ,কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিলীন হয়ে যাবে। তাই স্থানিয়দের দাবি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

চান্দরচর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন বেপারি বলেন, আমাদের বিশ বিঘা জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে। এ পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৩শ ফুট নদীগর্ভে চলে গেছে। এভাবে ভাঙলে এক বছরেই আমাদের বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ি ভাঙ্গনের আগে আমার যেন মরণ হয়। এই বাড়ি ভেঙে গেলে আমি নিঃস্ব হয়ে যাব।
বালুচর ইউনিয়ের আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি রমজান মাদবর বলেন , প্রায় ১০ বছর ধরে দলেশ্বরি নদীর ভাঙ্গনে শত শত একর জমি নদীগর্ভে। এবছর সবচাইতে বেশি ভাঙছে। প্রায় ১৫শ একর জমি বিলিন হয়ে গেছে।

আলেকচান সচিব বলেন, ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে আমাদের বাড়ি। বন্যা ও ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। নদী থেকে আড়াইশো ফিটের মধ্যে বাড়ি ঘর রয়েছে।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তিৃপক্ষ সরোজমিনে এসে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বালুচর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তামান্না ইয়াসমিন বলেন, এবছর প্রায় ৩ হেক্টর আবাদি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এখনো কোনো তালিকা করা হয়নি। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়েজুল ইসলাম বলেন, আমরা অবগত হয়েছি বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধলেশ্বরী নদীর প্রকল্পের কিছু জায়গা ভেঙে যাচ্ছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে কিভাবে এ নদী ভাঙ্গন বন্ধ করা যায় সে বিষয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ