পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরী উত্তর কাট্টলীর একটি ছয়তলা ভবনের ফ্ল্যাটে অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের সাত জনসহ নয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে গতকাল সোমবার চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন পেয়ারা বেগম (৬০) নামে একজন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোববার রাতে উত্তর কাট্টলীর মরিয়ম ভবনের ছয়তলার ফ্ল্যাটে এ অগ্নিকান্ড ঘটে। ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দগ্ধ অপর আটজন হলেন- মিজানুর রহমান (৪২), সাইফুর রহমান (১৯), বিবি সুলতানা (৩৬), মানহা (২), মাহের (৭), রিয়াজ (২২), জাহান (২১) ও সুমাইয়া (১৮)। চিকিৎসকেরা জানান, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে মিজানুরের শরীরের ৪৮ শতাংশ, সাইফুরের ২২, সুলতানার ২০, মানহার ২০, রিয়াজের ১৮ শতাংশ, সুমাইয়ার ১৫, জাহানের ১২ ও মাহেরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালী পুড়ে যায়। তাদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ জানান, পেয়ারা বেগমের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি দুপুরে মারা গেছেন। এরপর গুরুতর অবস্থায় পাঁচ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বলছেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ওই ফ্ল্যাটের অনেকগুলো পয়েন্টে একসঙ্গে স্পার্কের ঘটনা ঘটে। তবে রান্না ঘরের গ্যাসের চুলা অক্ষত পাওয়া গেছে। ফ্ল্যাটটির কোন বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারও ছিলো না।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, কীভাবে আগুনের ঘটনা ঘটেছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ভবনের প্রতিটি কক্ষে আগুনের চিহ্ন রয়েছে। ওই ভাড়া থাকতেন শিপিং কর্পোরেশনে চাকরিজীবী মিজানুর রহমান। এ দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী ছোট দুই শিশু সন্তান, মা এবং ভাইবোনও দগ্ধ হন। তাদের সঙ্গে থাকা দুজন সাবলেটও দগ্ধ হয়েছেন। মিজানুর রহমানের স্ত্রী সুলতানা ফেনীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। করোনাকালীনে ছুটিতে তিনি তাদের সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট (এডিএম) মো. বদিউল আলমকে প্রধান করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করার কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।