মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, দক্ষিণ ককেশাসের কারাবাখ অঞ্চলের অধিকৃত ভূমি আজারবাইজানের কাছে ফেরত দেয়ার বিষয়ে মস্কোর অবস্থান উন্মুক্ত। নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যখন আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ চলছে তখন তা অবসানের লক্ষ্য নিয়ে পুতিন এই বক্তব্য দিলেন।
চলমান সংর্ঘষের অবসান ঘটানোর জন্য রাশিয়া শুরু থেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং পুতিন সরকারের মধ্যস্থতায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে দু দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তিও হয়েছে। যদিও সেসব যুদ্ধবিরতি চুক্তি খুব একটা কার্যকর হয়নি মূলত বাকু ও ইয়েরেভানের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে।
এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে পুতিন বলেন, সমস্যার সমাধানে কারাবাখের দখল হয়ে যাওয়া ভূমি আজরাবাইজানের কাছে ফেরত দিতে তার সরকারের অবস্থান উন্মুক্ত।
তিনি বলেন, আজারবাইজান লাগোয়া পাঁচটি জেলা বা অঞ্চল বাকুর কাছে ফিরিয়ে দিতে মস্কো সম্মত আছে। পাশাপাশি কারাবাখে বিশেষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতেও তার সরকারের দ্বিমত নেই। নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্বে রাশিয়া অনেকটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিলেও মস্কোর তুলনামূলক সমর্থন ইয়েরেভানের দিকেই রয়েছে।
পুতিন বলেন, দুপক্ষের জন্যই স্বার্থের ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন। দু দেশের জনগণের স্বার্থকেই গুরুত্ব দিতে হবে, বিষয়টির সমাধান সেজন্য বেশ কঠিন। কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে এক মাসের বেশি সময়ের সংঘর্ষে আজারবাইজানের সেনারা অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে বহু জনবসতিপূর্ণ এলাকাও রয়েছে।
আজারাবাইজান ও আর্মেনিয়ার বাহিনী বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকার নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে গত চার দশক ধরে এই দুই দেশ দ্বন্দ্বে লিপ্ত। বিরোধপূর্ণ অঞ্চল নাগোর্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে ২৭শে সেপ্টেম্বর সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই দফার সংঘাত। এই লড়াইয়ের যাঁতাকলে পড়ে কীভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন দুই দেশের সাধারণ মানুষ। কী ধরনের প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর।
১৯৯১ সালের আগে পর্যন্ত আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান, দুটি দেশই ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর দুটি স্বাধীন দেশ হিসেবে তারা আলাদা হয়। নাগোর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের বলেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে আজারবাইজান। আর এই সাফল্যে মূল ভূমিকা রেখেছে তুর্কি ড্রোন। নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে আজারবাইজান। এই প্রথমবারের মতো আজারবাইজান স্বীকার করলো যে তারা যুদ্ধে তুর্কি চালকবিহীন ড্রোন ব্যবহার করছে, জানায় মিডল ইস্ট আই। সূত্র : পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।