Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখনই জাতীয় দলে চোখ সুমনের!

শুধরে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন আফিফও এইচপি ক্যাম্প শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

 প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর থেকেই বেশ আলোচনায় আছেন সুমন খান। ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে তার পদচারণা দুই বছরের। এতটা আলো তার ওপর পড়েনি আগে। তাতে অবশ্য চোখ ধাধিয়ে যাচ্ছে না তরুণ পেসারের। লক্ষ্য তিনি ঠিকই দেখতে পাচ্ছেন। সেই পথে এগিয়ে যেতে নিজেকে আরও ঘষামাজা করতে চান হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) স্কোয়াডের ক্যাম্পে।

এইচপি দলের যারা প্রেসিডেন্ট’স কাপে খেলেছেন, টুর্নামেন্ট শেষে আবার তারা ক্যাম্পে যোগ দিলেন গতকাল। এইচপির নতুন কোচ টবি র‌্যাডফোর্ড পুরো স্কোয়াড নিয়ে কাজ শুরু করলেন এ দিন থেকেই। সেখানে আছেন সুমন। প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন ২০ বছর বয়সী এই পেসার। টুর্নামেন্টে ৩ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়ে বিসিবি সভাপতির বিশেষ পুরস্কারও ছিল তার প্রাপ্তি। নিজের সাফল্য ও বোর্ডের কাছ থেকে পাওয়া স্বীকৃতি মিলিয়ে সুমন বেশ উজ্জীবিত হয়ে নেমেছেন এইচপির ক্যাম্পে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়া ছেড়ে যে স্বপ্ন নিয়ে বিকেএসপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, সেই স্বপ্নে নতুন রঙ লেগেছে প্রেসিডেন্ট’স কাপের পারফরম্যান্সে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি পারফর্ম করেছেন আগেও। বাংলাদেশ ইমার্জিং দল, বিসিবি একাদশেও খেলেছেন ও পারফর্ম করেছেন। কিন্তু বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে তিনি আসেননি। শেখার বাকি তাই অনেক কিছু।

এজন্যই এইচপির ক্যাম্পকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন সুমন। মিরপুর একাডেমি মাঠে গতকাল এই পেসার বললেন, ক্যাম্পে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চান যতটা সম্ভব, ‘এইচপি একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে আমি এখানে এসেছি, আমার কোনো বয়সভিত্তিক খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। বিসিবি একটা সুযোগ করে দিয়েছে এখানে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। নিজের স্কিল ও ফিটনেসের উন্নতি করার সুযোগ এটি। এইচপি একটা ভালো জায়গা, নিজেকে প্রস্তুত করার অন্যতম মাধ্যম।’ কিসের মাধ্যম সেটি বাকিদের মতো জানেন সুমনও। তাইতো এখনই উচ্চাভিলাষী না হলেও নিজেকে এখান থেকেই প্রস্তুত করতে চান জাতীয় দলের জন্য, ‘এটা এমন এক প্লাটফর্ম, বিশেষ করে তরুণ বা উঠতি ক্রিকেটার যারা, তাদের জন্য রাস্তা বা সিঁড়ি যেটাকে বলে, এখান থেকে আসলে প্রস্তুত করা যায়। জাতীয় দলে যাওয়ার আগে যদি এখান থেকে পারফরম্যান্স, মানসিকতায় বা টেকনিক্যালি নিজেকে প্রস্তুত করা যায়, পরে জাতীয় দলে টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটা এমন এক প্ল্যাটফর্ম যেটি খেলোয়াড় গড়ে তোলার মাধ্যম।’

সুমনের মতো ছুটি পাননি আফিফ হোসেন ধ্রæব, তৌহিদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, আকবর আলি, রাকিবুল ইসলামের মতো তরুণরাও। এই সুযোগে নিজেদের ভুল শুধরে নিতে চান তারা। আফিফ যেমন বললেন, ‘আমাদের এইচপি ক্যাম্প এই (প্রেসিডেন্ট’স কাপ) টুর্নামেন্টের আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। আমরা যারা সুযোগ পেয়েছি তারা টুর্নামেন্টে খেলেছি আর যারা সুযোগ পায়নি তারা এখানেই (ক্যাম্পে) ছিল। আবার সবাই একত্রিত হয়েছি। ওখানে যে ভুলগুলো হয়েছি সেসব শুধরে নেওয়ার সময় পাবো আর এখান থেকে আশা করি ভালো কিছু শিখতে পারবো। এটা অবশ্যই একোটা ভালো দিক। এরকম সময়ে আমরা অনুশীলন করতে পারছি, ভালো একটা কোচের অধীনে অনুশীলম করতে পারছি। এই সুযোগটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ।’

এইচপি ক্যাম্পে ভুল-ত্রæটিগুলো শুধরে নেওয়া যায় বললেন আফিফ, ‘এইচপি ক্যাম্পে আসলে লম্বা সময়ের একটা ক্যাম্প হয়। আগেও এমন হয়েছে। এখানে ছোট খাটো ভুল ত্রæটি ঠিক করে নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় থাকে। এই জিনিসগুলো পরবর্তীতে যে টুর্নামেন্ট আসে বিপিএল, এনসিএল, প্রিমিয়ার লিগ সেগুলোতে সাহায্য করে। এখানে লম্বা সময়ের ক্যাম্পটা বড় একটা সুযোগ। চেষ্টা করব যেন এখানে শিখে সামনে কাজে লাগানো যায়।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুমন

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ