প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
শেষ মুহূর্তে বদলে গেল কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠানের ভেন্যু। রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে তার গাওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে তাই ভেন্যু বদল করতে হলো আয়োজকদের। জাতীয় জাদুঘরের বদলে কবীর সুমন আজ (১৫ অক্টোবর) গাইবেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে। জায়গা পরিবর্তনের কারণে অনুষ্ঠানের সময়সূচিও নড়চড় হচ্ছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠানের জন্য ৩টা ৩৫ মিনিটে গেট খোলা হবে, অনুষ্ঠান শুরু হবে সাড়ে ৪টায়। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘পিপহোল’। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শনিবার কবীর সুমনের বাংলা গানের অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল দুপুর ২টায়। আজ (১৫ অক্টোবর), ১৮ অক্টোবর ও ২১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে কবীর সুমনের গান পরিবেশ করার কথা। এরই মধ্যে তিন দিনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। কবীর সুমনের কনসার্ট উপলক্ষে তার ভক্তদের মাঝে এক উৎসব বিরাজ করছিল।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে কবীর সুমনও ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু সকল প্রস্তুতি যখন সম্পন্ন ঠিক সে সময় জানা যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি অনুষ্ঠানের। অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। এরপরেই বিকল্প ভ্যানু হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামকে বেছে নেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান।
কবীর সুমনের এবারের ঢাকা সফরের বিশেষ উপলক্ষ আছে। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত হয় কবীর সুমনের প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’। বলা হয়, এই অ্যালবামের গানগুলো আধুনিক গানের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল। ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবাম প্রকাশের ৩০ বছর পূর্তি হয়েছে এ বছর। এ উপলক্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে গাইতে এসেছেন তিনি। অনুষ্ঠানের নাম তাই রাখা হয়েছে, ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদ্যাপন, সুমনের গান ও বাংলা খেয়াল।’
উল্লেখ্য, কবীর সুমন এপার বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী। এর আগেও বেশ কয়েকবার ঢাকায় গাইতে এসেছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে গান করেছিলেন কবীর সুমন, তখন কোনো পারিশ্রমিক নেননি তিনি। টিকিট বিক্রির পুরো অর্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিলে দিয়েছিলেন। সর্বশেষ এসেছিলেন ১৩ বছর আগে, ২০০৯ সালে। তবে তখনও অনুমতি না মেলেনি নানা কারণে। যার ফলে কবীর সুমনের আর গান গাওয়া হয়নি বাংলাদেশে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।