পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচার জাহেলিয়াতের যুগকেও ছাড়িয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরাই ধর্ষক যিনাকারে পরিণত হয়েছে। এসব সোনার ছেলেদেরকে অবাধে দুর্নীতি, রাতের বেলা ভোট চুরিসহ নানা অপরাধ শিখিয়েছেন। এ জন্য তারা যে কোনো অপরাধ করতে দ্বিধা বোধ করছে না। ফেরাউনের ইতিহাসকে স্মরণ করুন। সীমা লঙ্ঘন করার কারণে আল্লাহপাক ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে মেরেছেন। আপনারা সীমা লঙ্ঘন করলে পরিণাম ভাল হবে না। আজ বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইন শৃঙ্খলার অবনতি এবং ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পীর সাহেব বলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জনগণকে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে ইসলামী শরীয়ত বিরোধী কোনো আইন করবে না। ৯২% মুসলমানের দেশে নাস্তিকরা বার বার ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে চড়াও হবে তা’ বরদাশত করা হবে না। পীর সাহেব বলেন, জায়গায় জায়গায় মূর্তি বানানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। মূর্তি নির্মাণ কোন শরীয়তের আইনে স্বীকৃতি আছে ? পীর সাহেব বলেন, প্রয়োজনে জান দিবো তবু ঢাকাকে মূর্তির শহর বানাতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। অবিলম্বে দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি কমাতে হবে। পীর সাহেব বলেন, অবিলম্বে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করুন না হয় সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামলে গদি ছাড়তে বাধ্য হবেন। পীর সাহেব হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নো-আওয়ামী লীগ নো-বিএনপি নো-জাতীয় পার্টি কাউকে ছাড় নয়। ইসলামী আন্দোলন মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা ফজলে বাড়ী মাসউদ এর সভাপতিত্বে বৈরি আবহাওয়ার মাঝে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুস আহমাদ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, আবুল কাসেম, এ বি এম জাকারিয়া ও এম হাসিবুল ইসলাম। প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ইসলাম মূর্তি নির্মাণকে সমর্থন করে না। মুসলিম দেশকে মূর্তির দেশ বানাবেন আর মুসলমানরা ঘুমিয়ে থাকবে না। তিনি বলেন, ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচারে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। অবাধে ধর্ষণ ব্যভিচারে জড়িয়ে পড়ায় জনগণ ছাত্র লীগের নাম ধর্ষক ছাত্র লীগ বলে ডাকছে। তিনি বলেন, ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচার বন্ধ এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। পরে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।