Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

প্রধানমন্ত্রীকে ৩ দিনের আল্টিমেটাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া গণবিক্ষোভের জেরে অবশেষে কিছুটা পিছু হটল থাইল্যান্ড-এর প্রশাসন। গতকাল প্রত্যাহার করা হল গত সপ্তাহে ব্যাংককে জারি হওয়া একমাসব্যাপী জরুরি অবস্থার নির্দেশ। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাও আন্দোলনকারীদের কাছে বিক্ষোভ তুলে নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

গতকাল থাইল্যান্ড সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, স¤প্রতি শান্তিশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় ব্যাংককে একমাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হচ্ছে। তবে কোনওভাবে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় তার দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছেও শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।

আটদিন আগে থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা-কে অপসারণের দাবিতে রাজধানী ব্যাংককে তীব্র বিক্ষোভ শুরু। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলন এতটাই ভয়ানক আকার ধারণ করেছিল জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। কিন্তু, এ নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই ব্যাংককের একটি ব্যস্ত মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এর ফলে ব্যাংকক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এরপরই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বুধবার রাতে সরকারি টেলিভিশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এ বিক্ষোভের ফলে থাইল্যান্ডের ক্ষতি হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা যদি সহিংসতা বন্ধ করে তবে আমি এখনই জরুরি অবস্থা তুলে নেব। এ প্রস্তাব দিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথে আমি এক পা এগিয়ে এলাম। আপনারাও এগিয়ে আসুন। বিক্ষোভ বন্ধ করুন।

গত তিনমাস ধরে রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। আরও গণতান্ত্রিক আধিকার চেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে রাজপরিবারের সমালোচনা করা নিষিদ্ধ হলেও স¤প্রতি বিক্ষোভকারী রাজা ও রানির গাড়ি রাস্তায় আটকে। এর ফলে দমনপীড়ন নীতির মাধ্যমেই আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করেছিল সরকার। কিন্তু, জনরোষ বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে এখন ক্রমশই পিছু হটছে।

গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ও প্রায়‚তের নেতৃত্বাধীন রাজতন্ত্র। গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশটিতে রাজতন্ত্রবিরোধী আন্দোলন করে আসছে হাজার হাজার মানুষ। প্রধানমন্ত্রী প্রায়‚ত চান-ওচার বিরুদ্ধে গত বছরের নির্বাচনে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে প্রায়ূত বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ূতকে পদত্যাগের জন্য তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার তাদের দাবি-দাওয়া পূরণে যথেষ্ট নয়। বিক্ষোভকারীদের নেতা জা নিউ সেরিতিওয়াত বলেন, জনগণের দাবি-দাওয়া উপেক্ষা করে তিনি (প্রায়ূত) এখনও ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। প্রথমেই জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত ছিল না। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: থাইল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ