বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ এনে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ফাকরাবাদ একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আমিরুজ্জামান লেবুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা চত্বরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সালেহ আহমেদ, স্থানীয় মোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল লতিফ, এমদাদুল হক, মোহাম্মদ আলী, সালেহ আহমেদ, ছাত্র সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শরীফ আহমেদ প্রমূখ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ফাকরাবাদ একতা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান লেবু ২০০৮ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে হেরে ক্ষমতার দাপটে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে আবারো প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে নেন। এরপর থেকে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন। বক্তারা বলেন শুধু তাই নয় প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান লেবু ভুয়া সনদসহ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেন। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের অর্থ।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সদরের বাসিন্দা মনোয়ার উল্লাহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দুদক পরিচালক এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। ১৭ অক্টোবর জেলা শিক্ষা অফিসার মোকছেদুর রহমান একতা উচ্চ বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন। তদন্তের সময় প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান লেবুর জাল-জালিয়াতির ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পান। এছাড়া নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক কাগজপত্রও দাখিল করতে পারেননি তিনি। তদন্তকালে জেলা শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র চাইলেও প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান লেবু কাগজপত্র হারিয়ে যাওয়ার কথা বলে তা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন। প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান লেবুর এসব দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। মানববন্ধন শেষে প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান লেবুর দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এদিকে এ বিষয়ে শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, আমি তদন্ত করে বেশ কিছু বিষয় গড়মিল পেয়েছি। তবে তদন্তাধীন বিষয় এ মূহুর্তে কিছু বলা যাবে না। আমি তদন্ত করে যা পাবো তাই উর্ধ্বতন অফিসে পাঠাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।