Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিকে গেল মাহমুদউল্লাহ একাদশ

ফাইনালে খেলতে জিততেই হবে তামিমদের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ম্যাচটা হারলেই ফাইনালে ওঠার আশা শেষ হয়ে যেত মাহমুদউল্লাহ একাদশের। সেটি হতে দেননি মাহমুদউল্লাহ আর মাহমুদুল হাসান। দুজনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তামিম একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল মাহমুদউল্লাহ একাদশ। তবে একেবারে নির্ভার হয়ে থাকার জো নেই। আজ আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হওয়া নাজমুল একাদশের বিপক্ষে তামিম একাদশ জিতলে ফাইনাল স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে মাহমুদউল্লাহর দলটির।
এর আগে পরশু মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ একাদশ ৮ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে তাদের দুই ওপেনার লিটন দাস (৫) ও মোহাম্মদ নাঈমকে (৩)। দ্রæতই দুই ওপেনার হারানোর ধাক্কাটা সামলেছেন ইমরুল কায়েস আর মাহমুদুল হাসানের তৃতীয় উইকেট জুটি। গত যুব বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল ‘সিনিয়র’ ক্রিকেটেও নিজের সামর্থ্য প্রমাণে এগিয়েছেন ভালোভাবেই। অগ্রজ ইমরুল যখন স্ট্রোক খেলছিলেন, মাহমুদুল এগিয়েছেন বেশ ধীরে। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৮৪ রান। খালেদ আহমেদের লাফিয়ে ওঠা বলটা ঠিকঠাক খেলতে না পেরে ইমরুল মেহেদীর ক্যাচ হয়ে ফেরেন ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দ‚রে থেকে।
মাহমুদুল অবশ্য ফিফটি প‚রণ করেছেন (৮৬ বলে)। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ৫৬ রান। তাইজুল ইসলামকে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে মেহেদী হাসানের ক্যাচ হওয়ার আগে তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেছেন ৬ চারে ৫৮ রান। ইনিংসের বেশির ভাগ সময় স্ট্রাইকরেট তার ৫০-এর আশপাশেই থেকেছে। শুরুর ধাক্কা, রান তাড়া করার চাপ নিতে গিয়ে মাহমুদুলের ব্যাটে স্ট্রোক প্লের ঝলকানি ছিল না খুব একটা। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় দায়িত্বশীল ব্যাটিং তাঁকে এনে দিয়েছে ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার।
মাহমুদউল্লাহর হাতে অবশ্য কোনো পুরস্কার ওঠেনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচের সবচেয়ে বড় পুরস্কার জয় তো পেয়েছেন। এই জয়ে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। খেলেছেন ৬৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। মাহমুদুল দারুণ ব্যাটিং করার পরও মাহমুদউল্লাহ একাদশের কাছে ম্যাচটা কঠিন হয়ে যেত, যদি না মাহমুদউল্লাহ নুরুলের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৬৫ রানের জুটি না গড়তেন।
‘ক্যাপ্টেনস নক’ খেলা মাহমুদউল্লাহ ম্যাচটা শেষ করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু সাইফউদ্দিনকে পুল করতে গিয়ে ফিনিশিং করা হয়নি তার। ডিপ মিড উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন ৬৭ রানে। মাহমুদউল্লাহ শেষ করে না আসতে পারলেও নুরুল হাসান ২৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে ফিরেছেন। ম্যাচসেরা পুরস্কারটা পেয়েছেন দুর্দান্ত বোলিং করা মাহমুদউল্লাহ একাদশের পেসার রুবেল হোসেনের। ১০ ওভারে ৩ মেডেনে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেটে। শুধু এ ম্যাচেই কেন, ৪ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজে এখনো পর্যন্ত সেরা বোলারও তিনি।

 



 

Show all comments
  • মেজবাহ ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৫৮ পিএম says : 0
    আমি খেলোয়ার হতে চাই মেজবাহ কাকচর বাড়ি
    Total Reply(0) Reply
  • মেজবাহ ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ৮:১১ পিএম says : 0
    টিকেট খেলোর তামিম . মেজবাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খেলা

৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ