Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাফত থেকে কারবালা (পর্ব এক এর বাকি অংশ)

মারজান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

(পূর্বের প্রকাশিতের পর)
ইমাম মুহাম্মদ আল-মাহদী (আ.)-এর আগমনের বিষয়টি সুন্নী-শিয়া উভয়ের নিকট গ্রহনযোগ্য। আহলে সুন্নাতের আকীদা হচ্ছে, কিয়ামতের পূর্বে দাজ্জালের ফিতনার সময় ইমাম মুহাম্মদ আল-মাহদী কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করবেন এবং তিনি আহলে বায়েত তথা আলী (রা.)-এর বংশধর হবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে গেছেন। সুন্নীদের কাছে ইমাম মুহাম্মদ আল-মাহদী শিয়া আকীদার ইমামদের ন্যায় "ইমাম" বলে বিবেচিত হননা; বরং উম্মতের নেতা হিসেবে "ইমাম" এবং আল্লাহর ওলী বলে বিবেচিত হন। শিয়াদের আকীদা হচ্ছে, ইমাম মুহাম্মদ আল-মাহদী অনেক আগেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তিনি গুপ্ত আছেন। সময়মতো তিনি প্রকাশিত হবেন। তাই শিয়ারা তাঁকে মুহাম্মদ আল-মুনতাযির (অপেক্ষমাণ মুহাম্মদ) বলেও আখ্যায়িত করেন। শিয়াদের "গাইবাহ" বা গুপ্ত নামক আকীদাটি ইমাম মুহাম্মদ আল-মাহদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে।

গ্রন্থবদ্ধ ইমামতের মতবাদকে ভিত্তি করে শিয়া সম্প্রদায় দাবী করেন যে, রাসুলুল্ল­াহ (সা.)-এর পর তাঁর "উত্তরাধিকারী" আলী (রা.) খলিফা বা ইমাম হওয়ার একমাত্র দাবীদার ছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী তিন খলিফা যথাক্রমে আবু বকর সিদ্দিক (রা.), উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) এবং উসমান ইবনে আফফান (রা.) জোরপূর্বক খেলাফত "দখল" করে নিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের মতবাদের স্বপক্ষে যে কতিপয় প্রমাণ পেশ করেন, তা আমরা পর্যালোচনা করব।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের চারদিন পূর্বে তাঁর ঘরে সাহাবিদের উপস্থিতিতে একটি ঘটনা ঘটেছিল, যা শিয়া-সুন্নী উভয় প্রান্তে উত্তপ্ত আলোচনার জন্ম দেয়। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের সময় আগত হল, তখন তাঁর ঘরে অনেক লোক জমা হল। তন্মধ্যে উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) ও ছিলেন। নবী (সা.) বললেন, এসো, আমি তোমাদেরকে কিছু লিখে দেব যাতে পরবর্তীতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হও। তখন উমর (রা.) বললেন, নবী (সা.)-এর উপর রোগযন্ত্রণা তীব্র হয়ে উঠেছে, আর তোমাদের নিকট কুরআন রয়েছে। আল্লাহর কিতাবই আমাদের জন্য যথেষ্ট। ঘরে উপস্থিত লোকদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিল। তাঁরা বাদানুবাদে লিপ্ত হলেন। তন্মধ্যে কেউ কেউ বললেন, কাগজ-কলম পৌঁছে দাও। নবী (সা.) তোমাদের জন্য কিছু লিখে দেবেন, যাতে পরবর্তীতে তোমরা পথভ্রষ্ট না হও। আবার কতিপয় উমর (রা)-এর কথামতো কথা বলতে লাগলেন। এভাবে নবী (স.)-এর সামনে তাঁদের মতভেদ ও বাকবিতন্ডা বেড়েই চলল। তখন রাসুল (সা.) বললেন, তোমরা উঠে চলে যাও। বর্ণনাকারী উবায়দুল্লাহ বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলতেন, বড় মুসিবত হল লোকদের মতভেদ ও বাকবিতন্ডা, যা রাসুল (সা.) ও তাঁর সেই লেখার মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। (সহীহ বুখারী : কিতাবুল মারদ্বা, ৫৩৪৫)

তাবেয়ী সাঈদ ইবনে জুবায়েরের সূত্রে উক্ত হাদিসের ভাষ্য নিম্নরূপ- কোন একসময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) "হায় বৃহস্পতিবার! হায় বৃহস্পতিবার দিন" বলে কেঁদে ফেলেন। এমনকি তাঁর অশ্রুধারায় সামনের কংকর ভিজে যায়। সাঈদ ইবনে জুবায়ের বলেন, আমি বললাম, হে ইবনে আব্বাস! বৃহস্পতিবার দিন কী হয়েছিল? তিনি বললেন, সেদিন রাসুল (সা.)-এর রোগযন্ত্রণা বেড়ে যায়। তিনি বললেন, এসো, আমি তোমাদেরকে একটি লিপি লিখে দেই যাতে তোমরা পরবর্তীতে পথভ্রষ্ট না হও। তখন উপস্থিত সাহাবিরা পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হলেন, অথচ নবী (সা.)-এর সামনে তর্কবিতর্ক করা অনুচিত। তাঁরা বললেন, নবী (সা.)-এর অবস্থা কী হল? তিনি কি (রোগের প্রকোপে) অর্থহীন কথা বলতে পারেননা? তোমরা তাঁর কথা বুঝার চেষ্টা করো। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সা.) বললেন, তোমাদেরকে তিনটি বিষয়ে ওসিয়ত করছি। মুশরিকদেরকে জাযিরাতুল আরব থেকে বহিষ্কার করে দাও। প্রতিনিধি দলসমূহকে উপহার-উপঢৌকন দাও, যেভাবে আমি তাদেরকে দিতাম। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনে আব্বাস তৃতীয়টি থেকে নিরব থাকেন। অথবা তিনি বলেছিলেন, কিন্তু আমি ভুলে গেছি। (সহীহ মুসলিম : কিতাবুল ওসিয়্যাহ, ১৬৩৭)

উক্ত হাদিসকে হাদিসে কিরত্বাস বলা হয়। শিয়া সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন আলী (রা.)-কে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উমর (রা.) ও বাকি লোকজন সুকৌশলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে তা করা থেকে বিরত রেখেছেন। আমরা উক্ত হাদিস এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখব, তাঁদের দাবী সঠিক কি না।

প্রথমত, হাদিসের ভাষ্যের আলোকে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কথাটি আমাদেরকে স্বীকার করে নিতে হবে যে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্যে থাকাকালে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে পারস্পারিক তর্কবিতর্ক উত্তম কাজ ছিলনা। যেভাবে তিনি বলেছেন- তখন উপস্থিত সাহাবিরা পরস্পর বিতর্কে লিপ্ত হন, অথচ নবী (সা.)-এর সামনে তর্কবিতর্ক করা অনুচিত। সাহাবিরা দুনিয়া-আখেরাতে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। উম্মতের সমস্ত আলিম-উলামা, ওলী-বুযুর্গ একত্রিত হলেও একজন সাহাবির সমপর্যায়ে যেতে পারবেন না। কিন্তু সমস্ত সাহাবিদের সমন্বিত সম্মান-মর্যাদা একত্রিত করলেও সায়্যিদুল মুরসালিন নবীয়ে আকরাম (সা.)-এর পায়ের ধুলিকণা বরাবরও হবেনা। তবে এ কথা দ্বারা এমনটি ভাবা উচিৎ নয় যে, রাসুলুল্ল­াহ (সা.) তাঁর সাহাবিদের উপর অসন্তুষ্ট থাকাবস্থায় ইন্তেকাল করেছিলেন। বরং আমরা বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদিসে পাই, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকালের পূর্বে ঘরের পর্দা সরিয়ে মসজিদে নববীতে সাহাবিদেরকে আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর পেছনে নামাজ পড়তে দেখে খুশি হয়েছিলেন এবং সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহর সান্নিধ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। হাদিসে কিরত্বাসের ভাষ্য থেকে সাহাবিদের বাদানুবাদের দরূণ রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক যে অসন্তুষ্টির চিত্র পাওয়া যায়, তা ছিল সাময়িক বিরক্তি। বস্তুুত আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া-তা'আলা এবং তাঁর প্রিয়নবী সায়্যিদুনা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) সমস্ত সাহাবিদের উপর সন্তুষ্ট এবং তাঁরাও আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর উপর সন্তুষ্ট।

হাদিসে কিরত্বাসের ব্যাখ্যায় আহলে সুন্নাতের পক্ষ থেকে কিছু কথা নিম্নরূপ- ১.শিয়াদের দাবী হল, উমর (রা.) কূটকৌশলবশত রাসলূল্লাহ (সা.)-কে কিছু লেখা থেকে বিরত রেখেছিলেন। তাঁদের এ দাবী নিতান্তই অনভিপ্রেত এবং একপেশে। বস্তুুত, উমর (রা.) রাসুলূল্লাহ (সা.)-এর রোগের তীব্রতা দেখে তাঁকে অধিকতর কষ্ট না দিতেই লেখা থেকে বিরত রেখেছিলেন। রাসুলূল্লাহ (সা.)-এর জীবনের শেষদিকে রোগযন্ত্রণার তীব্রতার কথা উল্লেখ করে উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেছেন- আমি রাসুলূল্লাহ (সা.)-এর চেয়ে অধিক রোগযন্ত্রণা ভোগকারী আর কাউকে দেখিনি। (সহীহ বুখারী : কিতাবুল মারদ্বা, ৫৩২২)

২.কেউ কেউ এ দাবীও করেন যে, কিভাবে উমর (রা.) কেবল পবিত্র কুরআনকে আমাদের জন্য যথেষ্ট বলতে পারেন, যখন কুরআন-হাদিস উভয়েই ইসলামি শরী'আতের উৎস? মূলত, উমর (রা.)-এর উক্তিটি ছিল সাময়িক এবং খন্ডিত। অর্থাৎ তিনি কুরআনকে শরী'আতের একমাত্র উৎস বলে দাবী করেননি। বরং তিনি সাময়িক পরিস্থিতির বিচারে কুরআনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তাছাড়া রাসুলল্লাহ (সা.) সারাজীবন পবিত্র কুরআনকেই তাঁর হেদায়াতের সিলেবাসস্বরূপ উল্লেখ করে গেছেন। যতবার তিনি (সা.) তাঁর ইহলোক ত্যাগের পর ফিতনার আশঙ্কা করতেন, ততবারই তিনি সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআনকে আঁকড়ে ধরার কথা বলতেন। এর পরে আসত হেদায়াতের অন্যান্য উৎসের কথা। সুতরাং একটি কথা তো নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, পার্থিব জগতে রাসুলূল্লাহ (সা.)-এর খলিফা যিনিই হয়ে থাকুন; শুরু থেকে শেষ পযন্ত কুরআনুল কারীম-ই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রুহানি খলিফা হয়ে থাকবেন।

৩. উমর (রা.)-এর উপর যারা কূটকৌশলের অভিযোগ উত্তাপন করেন, তাঁরা উমর (রা.)-এর অবস্থান অনুধাবনই করতে পারেননি। রাসুলল্লাহ (সা.)-এর দক্ষিণবাহু উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) এমন ব্যক্তি ছিলেন না যে, তিনি আলী (রা)-কে খেলাফত থেকে বঞ্চিত করার জন্য কোনরূপ হীন কূটকৌশলের আশ্রয় নেবেন। উমর (রা.) তো সেই ব্যক্তি, উকবা ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলূল্লাহ (সা.) বলেছেন- যদি আমার পরে কেউ নবী হতেন, তাহলে উমর ইবনে খাত্তাব হতেন। (মুসনাদ : ইমাম আহমদ, ৪/১৫৪ এবং মুসতাদরাক : ইমাম হাকিম, ৪৪৯৫)

উমর (রা.) আর দশজনের মতো সাধারণ মুসলমান ছিলেন না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলল্লাহ (সা.) বলেছেন- তোমাদের পূর্বেকার উম্মতদের মধ্যে অনেক মুহাদ্দাছ ছিলেন। আমার উম্মতের মধ্যে যদি কেউ মুহাদ্দাছ হয়ে থাকেন, তিনি উমর। (সহীহ বুখারী : কিতাবু ফাদ্বায়িলুস সাহাবা, ৩৪৮৬) উল্লেখ্য, মুহাদ্দাছ সে ব্যক্তি, যিনি নবী নন অথচ তাঁর হৃদয়ে ঐশী সত্য অবতীর্ণ হয়।

৪. উমর (রা.) কিভাবে আলী (রা.)-এর খেলাফতের বিরূদ্ধাচরণ করতে পারেন, যে উমর (রা.) খলিফা থাকাকালে মদীনার বাইরে সফরে যাওয়ার সময় সর্বদা আলী (রা.)-কেই ভারপ্রান্ত খলিফার দায়িত্ব দিয়ে যেতেন। সিরিয়া ও জেরুজালেমে দীর্ঘ সফরের সময় উমর (রা.) আলী (রা.)-কে খলিফার দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। এসব রাষ্ট্রীয় সফর অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এবং উমর (রা.) জানতেন যে, তিনি মারা গেলে ভারপ্রাপ্ত খলিফার দায়িত্বে থাকা আলী (রা.)-ই তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এমনকি ইন্তেকালের পূর্বে খলিফা উমর (রা.) পরবর্তী খলিফা মনোনয়নের জন্য যে ছয় সদস্যের শুরা কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন, তাতে প্রথমেই ছিল আলী (রা.)-এর নাম, তারপর ছিল উসমান (রা.)-এর নাম। এরপর সুস্থ বিবেক কিভাবে একথা মানতে পারে যে, আলী (রা.)-কে খেলাফত থেকে বঞ্চিত করতে কূটকৌশলবশত উমর (রা.) রাসুলূল্লাহ (সা.)-কে কিছু লেখা থেকে বিরত রেখেছিলেন?

৫. উল্লেখিত হাদিস অর্থাৎ হাদিসে কিরত্বাস রাসুলল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের চারদিন পূর্বেকার ঘটনা। এ ঘটনার পরও ইন্তেকালের পূর্বে রাসুলল্লাহ (সা.) সাহাবিদেরকে আরো কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এমনকি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত এই হাদিসের ভাষ্যে পাওয়া যায়, রাসুলল্লাহ (সা.) তখন মৌখিকভাবে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। যদি তিনি আলী (রা.)-কে খলিফা মনোনিত করতে চাইতেন, তাহলে ইতোপূর্বে বা এর পরে সুস্পষ্ট বাক্যের দ্বারা আলী (রা.)-কে খলিফা মনোনিত করে যেতেন। (চলবে)

লেখকঃ ইসলামি চিন্তাবিদ, অধ্যয়ণরত- (মাস্টার্স) রিলিজিয়াস স্টাডিজের অধীনস্থ ইসলামিক স্টাডিজ,
এয়ারফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খেলাফত থেকে কারবালা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ