মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এশিয়াতে আধিপত্য লাভের লড়াইয়ে বিশ্বরে শীর্ষ পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে চীন। একইসাথে ক্ষমতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোভিড-১৯ মহামারীর নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতার কারণে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে প্রভাবিতকারী দেশ হিসাবে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্র এঅঞ্চলের শীর্ষ পরাশক্তি হিসাবে নিজের অবস্থান ধরে রাখলেও চীনের সাথে তার দু’বছর আগের ১০ পয়েন্টের পার্থক্যটি বর্তমানে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এমন তথ্য দিয়েছে সিডনি ভিত্তিক লওয়ি ইনস্টিটিউটের ২০২০ সালের এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স। ইনডেক্সটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা ব্যয়, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, তথ্য প্রবাহ এবং ভবিষ্যদ্বাণীমূলক গবেষণা সহ ১২৮ ধরণের সূচক ব্যবহার করে এশিয়ার ২৬ টি দেশের শক্তির পরিমাপ করে থাকে। ইনডেক্স সংক্রান্ত গবেষণাটির প্রধান এবং লওয়ির এশীয় শক্তি ও কূটনীতি কর্মসূচির পরিচালক হার্ভ লেমিয়েইউয়ের মতে, করোনা মহামারী, একাধিক বাণিজ্য বিরোধ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুপাক্ষিক সংস্থা এবং চুক্তিগুলি থেকে সরে আসার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়ার পাশাপাশি এশিয়াতে শীর্ষ পরাশক্তি হিসেবে প্রভাব হারিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, মার্কিন অর্থনীতি প্রাক-মহামারী পর্যায়ে ফিরে আসতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় নিতে পারে। বিপরীতে, চীন ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা একমাত্র বড় দেশ। বিষয়টি পরবর্তী দশকে প্রতিদ্বন্দীদের বিরুদ্ধে চীনকে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখতে পারে।
উহানে করোনা প্রাদুর্ভাবের তীব্রতা সম্পর্কে তথ্য আটকে রাখার অভিযোগের পর ক‚টনৈতিতে চীনের উল্লেখযোগ্য পতন সত্তে¡ও চীন এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই দৃঢ়ভাবে দ্বিতীয় স্থানটি ধরে রেখেছে। লেমিয়েইউ বলেছেন, ‘আমি মনে করি যে সম্ভবত চীন শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হয়ে উঠবে এবং এমনকি এদশকের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়েও যেতে পারে। তবে দু’দেশের মধ্যকার সেই পার্থক্যটি খুব বেশি হবে না।’ সূচকটিতে জাপানের পরে অবস্থান করা ৪র্থ শক্তিশালী দেশ ভারতের করোনা মহামারীতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে এবং কৌশলগত ক্ষেত্রে দেশটি বেইজিংয়ের কাছে মেনেছে। সূচকে ৩য় স্থান প্রাপ্ত জাপান সীমিত শক্তি ব্যবহার করে এঅঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করায় দেশটিকে স্মার্ট শক্তি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যৌথ সামরিক অনুশীলন এবং অস্ত্র সংগ্রহে দক্ষিণ কোরিয়াকে ছড়িয়ে যাওয়ায় দেশটি প্রতিরক্ষা ক‚টনীতির ক্ষেত্রে সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জন করেছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং ভিয়েতনামের পাশাপাশি এবছর আপেক্ষিক শক্তি অর্জন করা কয়েকটি দেশের মধ্যে তাইওয়ান অন্যতম। ২০১৯ সালের করোনা বিপর্যয়ের পর যখন কিছু মিত্র বেইজিংকে বিশ্ব মঞ্চ থেকে এক ঘরে করার জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল, সেসময় তাইওয়ান তার কূটনৈতিক প্রভাবের সূচককে এগিয়ে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে। সাংস্কৃতিক ও ক‚টনৈতিকভাবে সফলভাবে করোনা মহামারী মোকাবেলা করার পাশাপাশি প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ার সাথে ১৪ তম বাণিজ্য চুক্তি অর্জনের পর দেশটির অর্থনৈতিক সম্পর্কের সূচক বেড়ে গিয়েছে। আমেরিকা ছাড়াও রাশিয়া ও মালয়েশিয়াও সূচকটিতে সবচেয়ে নিচের দিকে রয়েছে। রাশিয়া তার ক‚টনৈতিক এবং সামরিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে সূচকে পিছিয়ে রয়েছে। তবে, ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে সুরক্ষা এবং সুপ্রতিষ্ঠিত পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য স্থিতিস্থাপকতার দিক থেকে এখনও সেরা অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। সূত্র : টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।