পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কৃষ্ণ সাগরের উপকূলবর্তী তুরস্কের একটি শহর থেকে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। শুক্রবার উপকূলীয় শহর সিনোপ থেকে সরু একটি ধোঁয়ার কলাম আকাশের দিকে উড়ে যেতে দেখা যায়। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি তুরস্ক, তবে চলতি সপ্তাহে এই ব্যবস্থা পরীক্ষা চালানোর কথা ছিল দেশটির। এর আগে এই পরীক্ষাকে সামনে রেখে কৃষ্ণ সাগরের ওই এলাকায় নৌযান ও বিমান চলাচলে সতর্কতা জারি করে তুরস্ক। তুরস্ক সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি হাবের টেলিভিশন তাদের ওয়েবসাইটে এই পরীক্ষার বিষয়টি জানিয়েছে। তুরস্কের অন্যান্য গণমাধ্যমও একই ধরনের খবর প্রকাশ করেছে। এদিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা মিসাইল টেস্টের বিষয়টি অস্বীকার বা স্বীকার কিছুই করবে না। এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা চালানোয় যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র চায় না যে, তুরস্ক রাশিয়ার তৈরি একই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করুক। দেশটির অভিযোগ, এর ফলে নেটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তথ্য বেহাত হতে পারে। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘সম্ভাব্য গুরুতর ফলাফলের’ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। তবে শুধু সমালোচনাই নয়, গত বছর তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জেট বিক্রি স্থগিত করে ওয়াশিংটন। এছাড়া দেশটির ওপর অবরোধ আরোপেরও হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল-জাজিরার। অপরদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া কখনো সত্যিকার অর্থে তুরস্ককে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করেনি। তবে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে আঙ্কারাকে দেখে মস্কো। মধ্যপ্রাচ্যে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করলেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদ-মাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে। আঙ্কারা ও মস্কো মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক সংঘাতে পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সিরিয়া, যেখানে রাশিয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করছে তুরস্কসমর্থিত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। লিবিয়ায় জাতিসংঘসমর্থিত সরকারকে সমর্থন করছে তুরস্ক। কিন্তু রাশিয়া ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সর্বশেষ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সংঘাতেও এই বিরোধ প্রকাশ পেয়েছে। রাশিয়াসমর্থিত আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর নাগোরনো-কারাবাখে দখলের বিরোধিতা করছে তুরস্ক। অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখন্ড বলে স্বীকৃতি পেলেও তা আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাশিয়ান রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ উল্লেখ করেন, এমন অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৌশলগত চেহারা রয়েছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়া ও তুরস্ক আঞ্চলিক সংঘাতে একে অপরের বিরোধী অবস্থান নিয়েছে কয়েক বছর ধরে। নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সংঘাতের সাম্প্রতিক উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি। ল্যাভরভ বলেন, তুরস্ক যে অবস্থান নিয়েছে আমরা সেটির সঙ্গে একমত নই। একই অবস্থান আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আলিয়েভও তুলে ধরেছেন। এটি কোনো গোপন বিষয় নয় যে, আলোচনার মাধ্যমে যে সংঘাতের সমাধান সম্ভব, সেটির জন্য সামরিক সমাধানে আমরা একমত হতে পারি না। আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।