Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নির্বাচনের দৌড়ে ১২১৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৪ এএম

২৩০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে আসছে। তবে শুধু প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সত্তে¡ও নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান-ডেমোক্রেটিক দ্বৈরথের কারণে আর কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হোয়াইট হাউসে জায়গা পাননি। তবে তাই বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থেমে নেই। তারা ভাবেন, যত যাই হোক, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন। এমন প্রার্থীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে গত শুক্রবার নাগাদ এক হাজার ২১৬ জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আবেদন করেছেন। মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান-ডেমোক্রেটিক দ্বৈরথ নিয়ে গণমাধ্যম যেভাবে নানা আয়োজন করে, তাতে অন্যদিকে নজর ফেরানোর সুযোগই থাকে না। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের খবর আড়ালেই থেকে যায়। সব জায়গায় ব্যালটে রিপাবলিকান-ডেমোক্রেটিক দুদল ছাড়া নামও থাকে না সবার। দাতারাও সব সময় বড় দুদলকেই অর্থকড়ি দিয়ে শক্তিশালী করে তোলেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সবাই অবশ্য ততটা সিরিয়াসও নন। স্বতন্ত্রদের মধ্যে মোটামুটি সরব এমন তিনজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। তাঁদের একজন কনসার্টের পিয়ানো বাদক, আরেকজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এবং অন্যজন ক্রিপ্টো বিলিয়নেয়ার। আমেরিকানরা কেন তাঁকে ভোট দেবেন, জানতে চাওয়া হলে কনসার্ট পিয়ানিস্ট ও সাবেক নারী মডেল জেড সিমনস বলেন, তিনি অর্থনৈতিক, শিক্ষা খাত ও বিচার ব্যবস্থায় সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা যেন সবাই পায়, তা নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়া তিনি রক্ষণশীল নাকি উদার, এমন প্রশ্নের জবাবে সিমনস বলেন, ‘অতীতে যাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার মানে এই নয় যে আমাকে রক্ষণশীলই হতে হবে। আমি মনে করি, যিশু ইতিহাসের সবচেয়ে অগ্রগামী লোকদের একজন। তার পরিচালনা দক্ষতা দেখুন। তাঁকে আপনি অবশ্যই প্রগতিশীল বলতে বাধ্য হবেন।’ শুধু ওকলাহোমা ও লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে নাম থাকবে সিমনসের। বাকি ৩১টিতে ফাঁকা ঘরে ভোটাররা নিজ হাতে যদি তার নাম লেখেন, তবেই সে ভোটটি সিমনসের হিসেবে গণনা করা হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য এটি একটি বৈষম্যম‚লক ব্যবস্থা বলে অভিযোগ করেন সিমনস। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ক্রিপ্টো বিলিয়নেয়ার ব্রক পিয়ের্স বলছেন, ‘আমরা কেমন জীবন চাই বা ২০৩০ সালে আমরা কোন অবস্থানে থাকতে চাই, তা নিয়ে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।’ ১৯৯২ সালের মাইটি ডাক সিনেমায় প্রেসিডেন্টের ছেলের চরিত্রে এবং ১৯৯৬ সালের ফার্স্ট কিড কমেডিতে অভিনয় করেছেন ব্রক পিয়ের্স। বিবিসি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ