বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে এক কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বেগম সুফিয়া কামাল হলের অ্যাটেন্ড্যান্ট নাইম ইসলামের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাত করে। এই ঘটনায় নাইম খায়রুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এতে খাইরুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে নাইমের উপর হামলা করে। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নাইমের মাথা ও হাত মারাত্মকভাবে জখম হয়। বর্তমানে তিনি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কর্মচারি ইউনিয়নের নেতারা খাইরুলের দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
মানববন্ধনে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শরীফ মিয়া বলেন, ‘কর্মচারী নেতা হয়েও অপর কর্মচারিকে খাইরুল তার লোক দিয়ে যেভাবে জখম করেছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। অনতিবিলম্বে আমরা এ হামলার বিচার দাবি করছি। অন্যথায় আমরা বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’
আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এর বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান শরীফ মিয়া।
হামলার বিচারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘কর্মচারি ইউনিয়নের নেতারা আমার সাথে দেখা করেছে। যত দ্রুত সম্ভব আমি তাদেরকে বিচারের আশ্বাস দিয়েছি। এজন্য তারা আর মানববন্ধন করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। খাইরুলের বিরুদ্ধে এর আগেও আমরা একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। আমি তদন্ত কমিটির সদস্য সচিবকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য জানিয়েছি। ’
এসব অভিযোগের বিষয়ে কর্মচারী সমিতির সভাপতি খাইরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন কর্মচারী নেতা, আমি কখনই কর্মচারীদের গায়ে হাত দিতে পারিনা। আমি সামনে সভাপতি পদে নির্বাচন করবো, তাই আমার বিপক্ষের যারা তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেছে। আমি অসুস্থ, আমি এই হামলার সঙ্গে জড়িত না।
মাদকের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে হেয় করার জন্য এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কর্মচারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগেও টাকা আত্মসাত ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ করে নাইম। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অভিযোগের আট মাস গেলেও এর সুরাহা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এই খাইরুলের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।