রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে কর্তফুলীর শিকলবাহায় নুরুল আমিনসহ তার পরিবারকে ৪ দফায় আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নুরুল আমিনকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে আপন দুই ভাই। গতকাল শনিবার পটিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নুরুল আমিনের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, মেয়ে নিগার সুলতানা, পুত্রবধূ নুসরাত বেগম, ভাগিনা ফয়সাল প্রমুখ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নুরুল আমিনের পিতা হাজী সাহেব মিয়া বিগত ২০০০ সালে তাদের বাড়ির চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ২টি চলাচলের পথ ও গেট নির্মাণ করে দেন। সাহেব মিয়ার মৃত্যুর পর তার পুত্র নুরুল হক পুরাতন গেট ভেঙে দুইটি পথ সৃষ্টি করে। এতে নুরুল আমিনসহ পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ২০ ফুট উঁচু করে একটি পাকা ওয়াল নির্মাণ করার সময় স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম বাধা দিলে নুরুল হক তাকে কুপিয়ে জখম করে। এতে একটি মামলা দায়ের হয়। এর জের ধরে গত ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট নুরুল কাদের ভাই নুরুল আমিনের বসত ঘরে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় নুরুল আমিন কর্তফুলী থানায় এজাহার দেয়। গত ৬ আগস্ট নুরুল কাদের পুনরায় নুরুল আমিনের ঘরে হামলা চালায়। ওসি ইসমাইল বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ৯টি শর্তে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করেন। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করে নুরুল কাদের কিশোর গ্যাং নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফের নুরুল আমিনের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করলে সে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকে। গত ৫ অক্টোবর নুরুল হক তার মাহাফুজা খাতুনের মাধ্যমে নুরুল আমিনের স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। নুরুল আমিন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।