রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মুক্ত ফুড অ্যান্ড বেকারী প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি এবং প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে কথিত সাংবাদিক জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার মাটিকাটায় নবনির্মিত মুক্তা ফুড অ্যান্ড বেকারী কারখানায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তা ফুডের সত্ত্বাধিকারী গোবিন্দ কিশোর পাল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, জাতীয় একটি পত্রিকায় টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী মো. জহিরুল ইসলাম নামে এক তথাকথিত সাংবাদিক আমার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া ও হয়রানিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আমার থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকর করায় গত আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দুই ব্যক্তি আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। শুধু তাই নয় নবনির্মিত কারখানার কাজ ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধেরও বাধা এবং হুমকি দেন ওই সাংবাদিক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্আলম প্রামাণিক, গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাস চন্দ পাল, স্থানীয় সমাজ সেবক মো. মনিরুজ্জামান, মো. মুজিবুর রহমানসহ স্থানীয়রা। গোবিন্দ কিশোর পাল আরও বলেন, মুক্তা ফুডের প্রতিটি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএসটিআই অনুমোদন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার বড় ভাই স্বর্গীয় প্রভাস চন্দ পালের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠানটি সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। একটি কুচক্রীমহল আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়িক কাজে হয়রানিসহ বাধাগ্রস্থ করতেই আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এমন সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। তাই আমি এসব সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
জানা যায়, উপজেলার কয়েড়া মাটিকাটার মুক্তাফুড অ্যান্ড বেকারী মালিক আঙুল ফুলে কলাগাছ শিরোনামে একটি পত্রিকায় গত ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করেন ওই সাংবাদিক মো. জহিরুল ইসলাম।
পরে তিনিই ভুয়া সংবাদের বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে পত্রিকায় প্রতিবাদ প্রকাশ করেন। সে ভুয়া সংবাদটি পুনরায় চলতি বছরের গত মঙ্গলবার ১৮ আগস্ট ডাকযোগে প্রেরক মো. আইলসা খাঁ (সিএনজি চালক), সিআইও বৈরাণ খাঁ, ঘাটাইলের শুনগ্রাম বরাদ দিয়ে একটি চিঠি পাঠায় ও চাঁদা দাবি করে ওই কথিত সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।