বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের শরণখোলার ফাঁড়ি পুলিশের এক সদস্য পারিবারিক কলোহের জের ধরে অন্তসত্তা স্ত্রীকে হত্যা করেছে। পরে লাশ চার ফন্ড করে বস্তায় ভরে গুম করার সময় ধরা পড়েছে ওই পুলিশ সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোর ৫ টার দিকে ফাঁড়ি সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায়। হত্যাকারী পুলিশ সদস্য মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে ওই দিন রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাদ্দাম হোসেন সাতক্ষীরা জেলার আশাসুনির বড়দল গ্রামের আঃ লতিফ মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় নিহতের মাতা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, পুলিশ সদস্য মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৫) কং ১০২৬ প্রায় এক বছর আগে শরণখোলায় তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন। এরপর ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি বাসা ভাড়া করে দ্বিতীয় স্ত্রী জোসৎনা বেগম (৩৫) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু তাদের মধ্যে পারিবারিক কলোহের সৃষ্টি হলে বুধবার ভোররাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর পেট চিরে বাচ্চা বের করার পর লাশ চার টুকরা করে বস্তায় ভরে গুম করার চেষ্টা চালায়। এ অবস্থায় তার বাসার কাজের মেয়ে বিষয়টি দেখে ফেলে পুলিশে খবর দেয়। ওই দিন রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে এবং হত্যাকারী পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। লাশ ময়না তদন্তেন জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, সাদ্দামের প্রথম স্ত্রী সাতক্ষীরার গ্রামের বাড়িতে থাকেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে জোসৎনাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে শরণখোলায় নিয়ে আসেন। জোসৎনার এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। সেখানে জেসন নামের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।