Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনা প্রত্যাহার ইস্যু, তালেবানের সঙ্গে দর কষাকষি ওয়াশিংটনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১১:০২ এএম

আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক আগ্রাসনের ১৯তম বার্ষিকীতে এসে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন। প্রায় এক বছর আগে দুপক্ষের মধ্যে কথিত শান্তি চুক্তি হলেও এখনো আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয় নি।

আফগানিস্তান থেকে তালেবানের সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার কথা বলে ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছিল আমেরিকা। দুই দশকের লড়াইয়ের পর ময়দানের বাস্তব অবস্থা কিন্তু ভিন্ন।

মার্কিন আগ্রাসনের ১৯তম বার্ষিকীতে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির একজন শীর্ষ উপদেষ্টা টুইটারে লিখেছেন, "১৯ বছর আগে এই দিনে আমেরিকা সন্ত্রাসীদেরকে উৎখাত করার নামে ‘অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম’ শুরু করেছিল। ১৯ বছর পরে এসে আজকের দিনে সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সেই তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করছে মার্কিন সরকার। তাহলে এই যুদ্ধে কে বিজয়ী এবং কে পরাজিত হলো?"

তালেবানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি সই হলেও আফগানিস্তানে প্রকৃতপক্ষে শান্তি আসে নি। আফগান সরকার তালেবানের প্রায় পাঁচ হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে কিন্তু আফগান সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ করে নি তালেবান। এ অবস্থায় আফগানিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদরা দেশটির জনগণ এবং বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠীর প্রতি বারবার এই আহ্বান জানাচ্ছেন যে, তারা যেন বিদেশি হস্তক্ষেপ-মুক্ত শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন দেন।

আফগান রাজনীতিবিদরা এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলের অনেকেই মনে করেন- আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসন অস্থিতিশীলতা বাড়িয়েছে এবং আমেরিকা ও আফগানিস্তান দুই পক্ষেই ব্যাপক মাত্রায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

বিভিন্ন সরকারি সূত্র থেকে জানা যায়, মার্কিন আগ্রাসনে এক লাখের বেশি আফগান হতাহত হয়েছেন। এ যুদ্ধে আমেরিকার তিন হাজারের বেশি সেনা মারা গেছে।

সূত্র: পার্সটুডে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ