Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিশোরীকে মেরে পুঁতে রাখলেন বাবা-ভাই

যোগীরাজ্যে ধর্ষণে অন্তঃস্বত্ত্বা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৭ এএম

প্রতিবেশীর ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল কিশোরী মেয়েটি। পরিবারের এ ‘লজ্জা’ ঢাকতে শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করলেন বাবা। খুন করার কাজে বাবাকে সাহায্য করেন কিশোরীর ভাই। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের যোগীরাজ্যের শাহজাহানপুর জেলায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। ১৬ বছরের কিশোরী মেয়েটি যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে, সে খবর পরিবারের চার দেয়ালে গোপন থাকেনি। সেটা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খবর ছড়িয়ে যাওয়ার পরে বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলতে শুরু করে। মেয়ের কৃতকর্মে ঘরের বাইরে পা রাখতে ‘লজ্জা’ বোধ করছিল পরিবারের লোকজন। পাঁচ জনের পাঁচ কথা, কট‚ক্তি কানে আসছিল তাদের। অবশেষে ধৈর্য হারিয়ে যায় পরিবারের, প্রচন্ড মারধর করে এবং শেষ পর্যন্ত শ্বাসরোধে হত্যা করেন বাবা।

বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে উল্টো কিশোরীর ভাইও শামিল হয় পরিবারের ‘সম্মান’ রক্ষায়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরীর। এরপর বড় ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সবার নজর এড়িয়ে মৃত মেয়েকে নদীর তীরে পুঁতে রেখে আসেন বাবা। ভেবেছিলেন, কেউ কিছু জানতে পারবে না। কিন্তু পুলিশের কানে পৌঁছে যায় সে খবর। পুলিশ আটক করে বাবা ও তার ভাইকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ের খুনের কথা স্বীকার করেন বাবা। জানান, মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গ্রামের লোকের বিদ্রুপ, কট‚ক্তি আর সহ্য হচ্ছিল না। বাইরে বের হলে লোকজন অপমানজনক কথাবার্তা বলছিল। তাই মেয়েকে খুন করে ফেলেছি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নদীর তীর থেকে দেহটি উদ্ধার করে শাহজাহানপুরের পুলিশ।
শাহজাহানপুরের এসএসপি এস আনন্দ জানান, দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা) ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ মেয়েটির মা ও অন্য আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে পরিবারের আর কেউ এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন না বলে জানা গেছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, ওই কিশোরী কোনো দিন স্কুলে পর্যন্ত যায়নি। প্রতিবেশীদেরই কেউ তাকে ধর্ষণ করেছিল। যার কারণে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বারবার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেও ধর্ষকের নাম জানতে পারেনি পরিবার। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত একটি কথাও বের হয়নি তার মুখ থেকে। পুলিশ জানায়, ধর্ষককে তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ। ফলে যে এই কাজটি করেছে, তার কঠোর সাজা হবে। মঙ্গলবার পুলিশ কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। জানা গেছে, ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো জিডি করা হয়নি পুলিশের কাছে। সূত্র : টিএনএন, ডেইলি মেইল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ