পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখের প্রধান শহর স্টিপানাকার্তে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আর্মেনিয়া। শুক্রবার সেখানে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সংঘর্ষ চলেছে। কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল কারাবাখের প্রধান শহর স্টিপানাকার্তে আজারবাইজানের সেনারা প্রচন্ড গোলাবর্ষণ করে এবং এতে বহু মানুষ আহত হয়েছে। ভারী গোলাবর্ষণের পাশাপাশি সেকানে অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শোনা যায়। এদিকে, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য আর্মেনিয়া মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে আজারবাইজান স্পষ্ট করে বলেছে, যুদ্ধবিরতির আগে নাগোর্নো-কারাবাখ থেকে আর্মেনিয়ার সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে কয়েক দশক ধরে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে স্বীকৃত হলেও ১৯০’র এর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর গেরিলা গোষ্ঠীর সহায়তায় আর্মেনিয়া তা দখল করে নেয়। গত রোববার থেকে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে নতুন করে বড় রকমের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং এ পর্যন্ত সেখানে ২০০’র বেশি মানুষ মারা গেছে যার মধ্যে ৩০ জনের বেশি বেসামরিক লোকজন। অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) মিনস্ক গ্রুপের সদস্য রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স যুদ্ধবিরতির জন্য আজারবাইজানের প্রতি আহবান জানিয়েছিল। সেই আহবানে এখনও সাড়া দেয়নি আজারবাইজান। দেশটির মিত্র তুরস্ক বৃহস্পতিবার বলেছে, শান্তি প্রক্রিয়ায় এই বৃহৎ তিন দেশের কোনো ভূমিকা থাকা উচিত নয়। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।