Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ফের উত্তপ্ত নাগর্নো-কারাবাখ

কারাবাখের কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আজারবাইজান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের সেনার সঙ্গে আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লড়াইয়ে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুই দেশই নতুন করে উত্তাপ ছড়ানোর কথা স্বীকার করেছে। দুই দেশই অপর দেশকে এর জন্য অভিযুক্ত করেছে। আজারবাইজানের অভিযোগ, আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতবাদী কারাবাখ সেনা ওই অঞ্চলে ক্যাম্প করে থাকা আজারবাইজানের সেনার উপর আক্রমণ চালায়। ঘটনায় এক সেনার মৃত্যু হয়। তারপরেই আজারবাইজান বাধ্য হয়ে ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপারেশন চালায়। তাতে কিছু মানুষ আহত হয়েছেন এবং কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। তবে, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা তারা জানায়নি। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটির বক্তব্য, আজারবাইজানের আক্রমণে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ১৪ জন। এই পরিস্থিতিতে বাকুর দাবি, নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়াকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু আর্মেনিয়া তাতে রাজি নয়। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। আজারবাইজান বুধবার জানিয়েছে, তারা বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এ সহিংসতা চলাকালে তিন সৈন্য নিহত হন। আজারবাইজানের সেনাবাহিনী জানায়, তারা আজারবাইজান ভ‚খÐে আর্মেনিয়ার অবৈধ সশস্ত্র গ্রæপের সন্ত্রাসী কর্মকাÐের প্রতিশোধ নিতে এ অভিযান চালায়। সেখানে এ অভিযান চলাকালে আজারি এক সৈন্য প্রাণ হারান বলে দাবি করা হয়। চির শত্রæ দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান এ পর্যন্ত পরস্পরের বিরুদ্ধে দুই দফা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। আর্মেনিয়া জনসংখ্যা অধ্যুষিত আজারবাইজানের নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ১৯৯০-এর দশকে এবং ২০২০ সালে আরেকবার তাদের মধ্যে যুদ্ধ বাধে। নাগোর্নো কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। ২০২০ সালের শরৎকালে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় বলে দাবি করা হয়। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যদিয়ে এ যুদ্ধের অবসান ঘটে। আর্মেনিয়া দশকের পর দশক ধরে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিস্তৃত ভ‚খন্ড পরিত্যাগ করলেও অস্ত্রবিরতি চুক্তি সত্তে¡ও সেখানে ধারাবাহিকভাবে উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা যাচ্ছে। রাশিয়া ভঙ্গুর এ অস্ত্রবিরতি দেখভালে এ অঞ্চলে প্রায় দুই হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন করেছে। ডিডবিøউ, রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাগর্নো-কারাবাখ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ