বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আশড়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান পল্টন ও তার সহোদর খোরশেদ আলম লিটন কে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, পত্নীতলা উপজেলার নোধুনী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের মেয়ে তানজিলা আফরিন নাহার এর সাথে ধামইরহাট উপজেলার উদয় শ্রী গ্রামের সিরাজ উদ্দীনের ছেলে খোরশেদ আলম লিটনের গত ২০১১ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্যাবসা করার নামে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক নেয় খোরশেদ আলম লিটন। সংসার চলাকালীন সময়ে তাদের দুটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। পরবর্তী সময়ে সে কোন প্রকার ব্যাবসা বানিজ্য না করে ওই টাকা খেয়ে ফেলে। তাদের সংসারের অভাব অনটন দেখে ওই যৌতুক লোভী স্বামীকে সুখের আশায় নজিপুরে একটি জুতার দোকান করে দেয় স্ত্রী পক্ষের লোকজন। অল্পদিনের মধ্যে সেই জুতার দোকানের সমুদয় পুঁজি নষ্ট করে ফেলে লিটন। পরবর্তী সময়ে সে আবার কাপড়ের দোকান করার জন্য টাকা দাবী করে। তার দাবীর প্রেক্ষিতে এক মাত্র বোনের সুখের কথা চিন্তা করে আবারো তাকে একটি কাপড়ের দোকান করে দেয়া হয়। যৌতুক লোভী স্বামী আবারো বাবার বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য স্ত্রী তানজিলা আফরিন নাহার কে চাপ প্রয়োগ করে। এবার স্বামীর দাবীকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় লিটনের সহদোর ভাই সাপাহার উপজেলার আশড়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান পল্টন ও ছোট বোন নাসরিন সুলতানার সহযোগীতায় তানজিলা আফরিন নাহার কে মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। যৌতুকের টাকা ছাড়া তার সাথে সংসার করা যাবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এ অবস্থায় বাবার বাড়ীতে থাকা কালে গত ১৫ মার্চ ২০২০ তারিখে আফরিন নাহার জানতে পারে যে তার স্বামী কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই পতœীতলা উপজেলার পাটিচরা গ্রামের জালাল উদ্দীনের মেয়ে জিয়াস মিনকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে।
এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে আফরিন নাহার বাদী হয়ে উল্লেখিত তিন জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। নির্যাতনের শিকার তানজিলা আফরিন নাহার এর দায়েরকৃত মামলায় আসামীগন গত রোববার বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত স্বামী ও তার সহোদর ভাইয়ের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।