এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
সব কৌতূহল মেটাতে পারে। সব কিছু খুঁজে দিতে পারে। সবার প্রিয় সেই গুগল আজ বাইশে পা দিল। প্রতি বছর জন্মদিন উপলক্ষে গুগল একটি বিশেষ ডুডল তৈরি করে। এবারও সেটা করেছে। আর তাতেও বিশ্বজুড়ে চলা মহামারীর ছায়া। একা একাই যেন জন্মদিন পালন করছে গুগল।
জন্মদিনের টুপি পরে ইংরেজি বর্ণ ‘জি’ ল্যাপটপে ভিডিও কলে ব্যস্ত। পাশেই উপহার আর এক টুকরো কেক রয়েছে। ল্যাপটপ থেকে বের হওয়া পপ আপে দেখা যাচ্ছে ‘গুগল’-এর বাকি বর্ণগুলিও জন্মদিনের আনন্দ করছে। মহামারীর সময়ে গুগলও যেন ভার্চুয়াল জন্মদিন পালন করল।
গুগলের জন্ম ১৯৯৬ সালে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন সংস্থাটি শুরু করেছিলেন। যদিও শুরুতে তারা সংস্থার নাম রেখেছিলেন ‘ব্যাকরাব’। তখন অবশ্য সার্চ ইঞ্জিন নয়, নিজেদের ব্যবহারের জন্য ওয়েব পেজ বানিয়েছিলেন দুই বন্ধু। ১৯৯৭ সালে ল্যারি পেজ ও সের্গেই নতুন সংস্থা শুরুর উদ্যেগ নেন। তখন এর নাম পরিবরর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় ‘গুগল’। এই নামটি এসেছে ইংরেজী ‘জি ডাবল ও জি ও এল’ থেকে।
এর পিছনে একটা গল্পও আছে। ‘জি ডাবল ও জি ও এল’ একটি গাণিতিক শব্দ। এর অর্থ, ১-এর পিছনে ১০০টি শুন্য। কিন্তু বানান ভুল করায় সেটাই হয়ে যায় ‘গুগল’, অর্থাৎ, ‘জি ডাবল ও জি এল ই’। গুগলের ব্লগ থেকেই জানা যায় সেই গল্প। ১৯২০ সালে আমেরিকার গণিতজ্ঞ এডওয়ার্ড ক্যাসনার তার ভাতিজা মিল্টন সিরোটার কাছে জানতে চান ১ এর পিছনে ১০০ শুন্য বসালে তাকে কী বলা হবে? উত্তরে সিরোটা বলেন, ‘গুগল’। ১৯৪০ সালে একটি বইতে এ কথা লেখেন ক্যাসনার। সেই শব্দটিকেই পরে সার্চ ইঞ্জিনের নাম হিসেবে পছন্দ করেন ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন। সম্ভবত, সার্চ ইঞ্জিনের বিশাল পরিমাণ তথ্য দেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেই এমন নামা বাছা হয়েছিল। এখন অবশ্য এই নামটা সবার জানা। অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানেও ২০০৬ সালে একটি ক্রিয়াপদ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ‘গুগল’ শব্দটি। সূত্র: ইন্টারনেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।