Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লেখাপড়ায় বাধা দেয়ায় গোপালপুরে নববধূর আত্মহত্যা

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:০৩ পিএম

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের হাদিরা গ্রামে লেখাপড়া করতে না দেয়ায় স্বামীর ওপর অভিমান করে ইতি (১৮) নামে এক নববধূর আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাদিরা ইউনিয়নের হাদিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইতি হাদিরা দক্ষিণপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আল আমীন মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুর হোসেন জানান, গত পাঁচ মাস আগে আল আমীন ইতিকে বিয়ে করেন। ইতি ছিলেন আল আমীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। এর তিন বছর আগে একই গ্রামের মুত্তালিব মিয়ার কন্যা সেলিনাকে বিয়ে করেছিলেন আল আমীন।

সেলিনার বাবা মুত্তালিব হোসেন জানান, কন্যাসন্তান প্রসব করায় প্রায়ই সেলিনাকে মারধর করত আল আমীন ও তার পরিবার। নির্যাতন সইতে না পেরে নাবালক কন্যাসহ সেলিনা বাবার বাড়ি চলে আসেন। পরে ডিভোর্স হয়।

প্রতিবেশী হাসিনা বেগম জানান, পাঁচ মাস আগে আল আমীন যৌতুক নিয়ে ঝাওয়াইল গ্রামের দুলাল মিয়ার কন্যা ইতিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

নিহত ইতির বাবা দুলাল মিয়া জানান, ইতি মেধাবী ছাত্রী ছিল। গতবার ফরম ফিলাপ করার পরও তাকে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে দেয়নি আল আমীন। মেয়েটি কলেজে পড়ার জন্য বায়না ধরেছিল। এ জন্য তাকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো।

শনিবার দুপুরে ইতি পড়ালেখার কথা তুলতেই তাকে নির্যাতন করা হয় বলে ফোনে বাবাকে জানায় ইতি। নির্যাতন সইতে না পেরে ইতি আত্মহত্যা করেছে। তাই এর বিচার দাবি করেন তিনি।

এদিকে স্বামী আল আমীন জানান, ইতি ছিল অভিমানী মেয়ে। সামান্য কথা কাটাকাটির ঘটনায় এমন সর্বনাশা কাণ্ড করেছে।

এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) কাইয়ুম সিদ্দিকী জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ওই নববধূ আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ