পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের কাছে ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ সংহতি প্রচেষ্টায় সহায়তা চেয়েছেন। এসময় তিনি এরদোগানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সহায়তা চান। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, স¤প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মাহমুদ আব্বাস। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ধর্মনিরপেক্ষ ফিলিস্তিনি দল ফাতাহর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সা¤প্রতিক আলোচনার ব্যাপারে এরদোগানকে অবগত করেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি নাগরিক ও অন্যান্য দলগুলোর ওপর মার্কিন প্রশাসনের চাপ প্রয়োগের ব্যাপারেও আলোচনা করেন তারা। টেলিফোনে আলোচনার সময় মাহমুদ আব্বাস তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ফিলিস্তিনের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার অনুরোধ জানান। চলতি মাসের শুরুর দিকে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দলগুলো অভ্যন্তরীণ বিভাজনের অবসানে ঐকমত্যে পৌঁছায়। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপ‚র্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের নীতিতেও রাজি হয় তারা। এদিকে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অফিস ও দ‚তাবাস চালু না করতে কসোভো এবং সার্বিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করায় তুরস্কের প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাহমুদ আব্বাস। অপরদিকে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিবাদে বৈরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ‚তাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে লেবাননিরা। বুধবার রাতে তারা দ‚তাবাসের সামনে সমবেত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের শাসকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেøাগান দেয়। দুই দেশের শাসকদের তারা বেঈমান ও বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, আবু ধাবির যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদ ও বাহরাইনের শাসক গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তারা শয়তানি শক্তির কাছে নিজেদেরকে বিকিয়ে দিয়েছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। তারা মজলুম ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এবং ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আমিরাত ও বাহরাইনের প্রতি আহŸান জানান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আবাসিক দপ্তর হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিতে সই করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। মুসলমানদের প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসার দখলদার ইসরাইলের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বর্ণবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের সব দল ও সংগঠন এবং আপামর জনসাধারণের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে চুক্তিতে সই করে এই দুই মুসলিম দেশ। এ নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি আরব দেশ দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ ও সাধারণ মুসলমানেরা এই চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং বিক্ষোভ করেছে। মিডল ইস্ট মনিটর, আল-জাজিরা,পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।