মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কুয়েতের একটি সংসদীয় কমিটি দেশে ‘জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা’ মোকাবিলার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দেশে প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা হ্রাস করার একটি বিল চূড়ান্ত করেছে। বিলটির বিশদ বিবরণ দিয়ে সংসদের মানবসম্পদ কমিটির সদস্য বদর আল-মোল্লা বলেন, বিলটিতে ১০টি অনুচ্ছেদ রয়েছে এবং এটি জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার প্রথম দৃঢ় পদক্ষেপ।
বিলটি মন্ত্রিসভাকে কয়েতে সর্বাধিক প্রবাসী কর্মীর সংখ্যা নির্ধারণের পাশাপাশি বিল অনুমোদনের পর ছয় মাসের মধ্যে প্রতিটি দেশের সর্বাধিক সংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক নির্দিষ্ট করার অনুমোদন দেবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পাঁচ বছরের মধ্যে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন।
বিলটি অনুমোদনের পরে দু’বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা ও বিশেষকরণেও মন্ত্রিসভাকে সুযোগ দেবে। মন্ত্রিসভা নিয়মিতভাবে প্রয়োজনীয় প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জারি করবে।
আল-মোল্লা বলেন, বিলটি প্রবাসী শ্রমিকের সর্বোচ্চ সংখ্যা থেকে কিছু বিভাগকে ছাড় দিয়েছে; কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের সদস্য এবং তাদের পরিবার, সামরিক প্রতিনিধি, চিকিৎসা ও শিক্ষামূলক চাকরি, নাগরিক বিমান চালক যেমন পাইলট এবং সহ-পাইলট, অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিক এবং গৃহকর্মী।
বিলের ছয়টি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা প্রান্তিক ও অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সংখ্যা নির্ধারণ করবে এবং জনগণের স্বার্থে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আরও বিভাগ নির্দিষ্ট করবে। সপ্তম অনুচ্ছেদে বেসরকারী ও সরকারি উভয় ক্ষেত্রে কিছু পেশায় প্রবাসীদের প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতিতে নাগরিকদের দক্ষতা বিকাশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সরবরাহ করার জন্য সরকারকে আদেশ দেয়া হয়েছে।
আট অনুচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে গৃহকর্মীদের আবাসিক বেসরকারী ও সরকারি সেক্টরে ওয়ার্ক পারমিটে স্থানান্তরিত করতে নিষেধ করেছে।
পারিবারিক পরিদর্শন ভিসাকে নির্ভরশীল ভিসায় স্থানান্তর করাও নিষিদ্ধ; উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের সাথে জড়িত শ্রমিকদের আবাসিক প্রকল্পটি কাজ শেষ হয়ে গেলে অন্য কোন প্রকল্পের জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন না হলে নবায়ন করা হবে না।
নয় নম্বর অনুচ্ছেদে যে কেউ আইন লঙ্ঘন করেছে বা তার সহযোগীকে আইন লঙ্ঘনে সহায়তা করেছে তাকে তিন বছরের কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি প্রায় ৯৭ লাখ টাকা) জরিমানা বা এ দুটি দন্ডের যে কোনও একটি জরিমানার বিধান রয়েছে। সূত্র : সউদী গেজেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।