পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে প্রচুর বাংলাদেশি নার্স নিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। বিনা অভিবাসন ব্যয়ে গত জুন মাসে ১শ’ ডিপ্লোমা নার্স উচ্চ বেতনে কুয়েতে গেছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এসব নার্স চাকরি করছে। ডিপ্লোমা নার্সদের বেতন প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা। বিএসসি নার্সদের মাসিক বেতন ৯০ হাজার টাকা। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। গত ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন কোম্পানীতে ১ হাজার ৪০৩ জন বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর দেশটির বিভিন্ন সেক্টরে প্রচুর অভিবাসী কর্মীর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে পারলে বেশি বেশি বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের পথ সুগম হবে। কুয়েতের এটিসি কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে ৬শ’ নার্স নেয়ার জন্য বোয়েসেলের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। দেশটির সিটি গ্রুপ ৫শ’ নার্স নেয়ার জন্য বোয়েসেলের কাছে চাহিদাপত্র দিয়েছে। এ যাবত এসব চাহিদাপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ৯শ’ অভিজ্ঞ নার্সের যাচাই বাছাই সম্পন্ন করে কুয়েতে চাকরির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২২৫ জন ডিপ্লোমা নার্সের ভিসা পাওয়া গেছে। কুয়েতের এ টি সি কোম্পানীর দশ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল নার্সদের সিলেকশন করতে গত ২৬ জুলাই বাংলাদেশে এসেছেন। গতকাল পর্যন্ত এ প্রতিনিধি দল ৩৩৮ জন নার্সকে সিলেকশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। আজ উক্ত প্রতিনিধি দলের কুয়েতের উ্েদ্দশ্যে ঢাকাত্যাগের কথা রয়েছে। বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন ইনকিলাবকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বিল্লাল হোসেন বলেন, কুয়েতের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রচুর বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা রয়েছে। অভিজ্ঞ নার্স সরবরাহে বোয়েসেল সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশি নার্সদের থাকা ও খাওয়ার খুবই ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশি নার্সরা কুয়েতের কর্মস্থলে গিয়ে খুবই খুশি। নার্সদের থাকা খাওয়া ট্রান্সপোর্ট ফ্রি। দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে অভিবাসী নার্সদের নিবন্ধন ও ফিংগার প্রিন্ট দিতে হয়। এতে প্রায় দু’মাস সময় লেগে যায়। কর্মস্থলে যোগদানের আগেই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম মাসকুদা নূর, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেনসহ চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল কুয়েত সফর করে বাংলাদেশি নার্সদের আবাসন ও কর্মস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দেশটিতে চাহিদানুযায়ী নার্স পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণও বাড়বে বলে বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিল্লাল হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রিক্রুটিং এজেন্সি বেস্ট ট্রেড সিস্টেম এর স্বত্বাধিকারী জাফর ইকবাল সোহাগ গতকাল সোমবার ইনকিলাবকে বলেন, করোনা মহামারির পর কুয়েতের বিভিন্ন খাতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা বাড়ছে। কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা খুবই ভালো আছে। যেসব নার্সরা বোয়েসেলের মাধ্যমে কুয়েতের হাসপাতালে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে তারা সবচেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছে। তিনি কুয়েতের শ্রমবাজার আরো চাঙ্গা করতে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।