পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুয়েতে ১১তম বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি প্রখ্যাত হাফেজ আবু রাহাত ৩য় স্থান লাভ করে দেশের জন্য সুনাম অর্জন করেছে। কুয়েত আমিরের তত্ত্ববাবধানে দেশটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১৭টি দেশের হাফেজরা অংশ গ্রহণ করেন। এসব দেশের প্রতিযোগিদের পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন হাফেজ আবু রাহাত।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সকালে দেশটির সালওয়ার নিকটবর্তী হোটেল রেজিন্সির হল রুমে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় তিন ক্যাটাগরির চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অনূর্ধ্ব ১৩ বছরের গ্রুপে তৃতীয় হওয়ায় আবু রাহাত পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেন। হাফেজ আবু রাহাত ঢাকার যাত্রাবাড়িস্থ মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। মাদরাসার মুহতামিম শায়েখ আন নাছেরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার পইজুরি ইউনিয়নের পূর্বচর পইজুরি গ্রামে তার জন্ম। বাবা রমজান আলী সরদার একজন মুদি দোকানি।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতের শিক্ষা ও ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল আজিজ মাজিদ, বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিচারকের দায়িত্বপালনকারী মিশরের ড. ফুয়াদ আব্দুল মাজিদ, মিশরের বিশ্ববিখ্যাত কারী শায়েখ ড. জিবরিল, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতার উপস্থাপক শায়েখ যায়েদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। প্রত্যেকের জন্য বিমানে আসা-যাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। এ প্রতিযোগিতায় কুয়েত, সউদী আরব, মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেনের বিশেষজ্ঞ বিচারকরা দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে হাফেজ আবু রাহাত জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২০ পিএইচপি কোরআনের আলোয় প্রথম স্থান অধিকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।