পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মার্কিন এবং ব্রিটিশ সমর্থিত ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া আলেম মুক্তাদা আল-সদর। তিনি বলেছেন, ইরাকের মাটিতে ইসরায়েল দূতাবাস খুললে নিজেই তার পতন ডেকে আনবে। ইরাকের অভ্যন্তরে ইসরায়েল একটি কূটনৈতিক মিশন দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা করছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হওয়ার পর মুক্তাদা আল-সদর এ হুঁশিয়ারি দিলেন।
গত শুক্রবার জুমা নামাজে দেওয়া খুতবায় তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আল্লাহর শত্রু, যার মাথায় ইরাক নিয়ে কূটচিন্তা রয়েছে। আরব এই দেশে প্রবেশ করে কিংবা দূতাবাস খুলে তিনি তার সে কূটকৌশল বাস্তবায়ন করতে চান।”
মুক্তাদা সাদর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ার করে বলেন, যদি তিনি এমন কাজ করেন তাহলে পবিত্র কুরআনের বাণী অনুসারে দখলদার এ শক্তির পতন হবে।
সম্প্রতি আরব দেশ বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই চুক্তি সই হয়। বহু আরব ও মুসলিম দেশ এ ঘটনাকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে।
এ সম্পর্কে মুক্তাদা সদর বলেন, ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তারা শুধু অপমানিত হবেন। এর আগে ইরাকের মন্ত্রিসভার মুখপাত্র আহমাদ মুল্লাহ তালাল বলেন, ইরাকি সংবিধান অনুসারে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সূত্র : পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।