প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিতর্কিত চিত্রনায়িকা মুনমুনের সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের সখীপুরে মসজিদের সামনে নেচে সমালোচনায় মুখে পড়ার পরই তার সংসার ভাঙনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। মীর মোশাররফ রোবেনের সঙ্গে মুনমুনের তালাক হয় কোরবানি ঈদের একদিন পর। তাদের বিচ্ছেদের খবর মুনমুন নিজেই প্রকাশ করেছেন। রোবেনের সঙ্গে মুনমুনের দীর্ঘ দশ বছরের সংসার। বিচ্ছেদের বিষয়ে মোশাররফের প্রতি তার কোন অভিযোগ নেই উল্লেখ করে মুনমুন বলেন, রোবেন শুধু তার নিজের স্বার্থের কথাই চিন্তা করেছে। সংসারের প্রতি তার কোন মনোযোগ ছিলো না। সে সিনেমা বানাতে চাইতো আমি অর্থের যোগান দিতাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হতো না। যার কারণে আমি তাকে বলতাম সংসারের দিকে মনোযোগ দিতে। সে দিতো না। মুনমুন জানান, তাকে আমি আমার নিজের একটি ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়েছিলাম স্টুডিওর জন্য। বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা দিতাম। আমিও চাইতাম সে উঠুক, সে নায়ক হতে চাইতো। আমিও সর্বোচ্চ চেষ্টা করতাম, কিন্তু আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতো এটা মেনে নিতে পারতাম না মুনমুন বলেন, ১০ বছরের বিবাহিত জীবনের মধ্যে চার বছর সেপারেশনে ছিলাম। একটা সময় সে উপলব্ধি করতে পেরে আমাকে জানায়। তারপর ফিরে আসে। তবে ফিরে আসার পরেও সেই আগের মতো হয়ে যায়। সেই টাকা পয়সা নেওয়া, মারধর করা। আর কোনো কাজ নেই তার। নিজের চিন্তায় অস্থির সে, অথচ আমাদের দুইজনের একটি সন্তান রয়েছে, সেদিকে তার মনোযোগ নেই। 'সব মিলিয়ে দেখলাম রোবেনের সঙ্গে আর একসঙ্গে থাকা সম্ভব না। তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেই এবং কোরবানি ঈদের একদিন পরে সেটা কার্যকর হয়। উল্লেখ্য, মুনমুন ২০০৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন সিলেটের একজন ব্যবসায়ীকে। এরপর যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০০৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে, ২০১০ সালে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই দম্পতির রয়েছে দুই পুত্র সন্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।