পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের সাথে আলোচনা করতে প্রস্তুত গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস। ভূমধ্যসাগর থেকে তুর্কি অনুসন্ধানী জাহাজ ওরুচ রেইস সমুদ্রবন্দরে ফিরে যাওয়ায় তিনি অভিনন্দন জানান। এসময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। রোববার গ্রিক প্রধানমন্ত্রী থেসালোনিকি শহরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ভূমধ্যসাগর থেকে তুরস্কের আনাতোলিয়া বন্দরে ওরুচ রেইস-এর ফিরে যাওয়াকে ‘প্রথম ইতিবাচক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা যদি উত্তেজনা কমানোর দৃশ্যমান কোন লক্ষণ দেখি...আমিই প্রথম আলোচনার টেবিলে বসব। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সাধারণ কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করেই আলোচনা শুরু হবে। গত মাসে তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জ্বালানী অনুসন্ধান পুনরায় শুরু করার পর থেকে এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে। ডেইলি সাবাহ এ খবর জানায়। অপরদিকে ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, গ্যাস অনুসন্ধানে এক মাসেরও বেশি সময় ভূমধ্যসাগরে অবস্থানে পর হুঁশিয়ারির মুখে নিজেদের আনাতোলিয়া বন্দরে ফেরত যায় জাহাজ ফিরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক। গত মাসের ১০ তারিখে জাহাজটিকে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের পার্শ্ববর্তী ভূমধ্যসাগর এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য জরিপ কাজে মোতায়েন করে তুরস্ক। জবাবে ইউরোপীয়ান মিত্র ও আরব আমিরাতের সহযোগিতায় ভূমধ্যসাগরের এ অঞ্চলটিতে নৌ-মহড়ার আয়োজন করে গ্রিস। ফলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে দুই দেশের। ভূমধ্যসাগর থেকে খনিজসম্পদ উত্তোলন নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে চলা বিরোধ চলছে তুরস্কের। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে কৃষ্ণসাগরে আরেকটি অনুসন্ধান জাহাজ পাঠাচ্ছে এরদোগান সরকার। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। খবর ডেইলি সাবাহ’র। গ্রিস এবং সাইপ্রাস এই এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। ফলে বিরোধের সূচনা হয়। তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য ড্রিলিং পরিচালনা করে তুরস্ক তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ দেশ দুটির। বিতর্কিত অঞ্চলটিতে তিন পক্ষই তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী ফাতেহ দোনমাজ রোববার জানান, কৃষ্ণসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আরেকটি জাহাজ পাঠাচ্ছে তার সরকার। ‘কানুনি’ নামের জাহাজটি কাজ শুরু করবে দিবে টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেন তিনি। তবে কৃষ্ণসাগরের ঠিক কোন জায়গায় এ অনুসন্ধান চালানো হবে তার স্পষ্ট ধারণা দেননি দোনমাজ। সম্প্রতি লিবিয়া সরকারের সঙ্গে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানবিষয়ক চুক্তি সইয়ের পর থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের খনিজসম্পদ নিয়ে তুরস্ক, গ্রিস ও সাইপ্রাসের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। আগস্টে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ভূমধ্যসাগরে একটি অনুসন্ধানী জাহাজ এবং এর সঙ্গে ছোটখাটো একটি যুদ্ধজাহাজের বহর পাঠায় তুরস্ক। সাগরের ওই এলাকাটিকে নিজেদের বলে দাবি করে গ্রিস। তবে তুরস্ক বলছে, সেখানে গবেষণার সমান অধিকার রয়েছে তাদেরও। এ নিয়ে প্রায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে দুই দেশের মধ্যে। বিরোধের মধ্যে অঞ্চলটিতে একাধিকবার সামরিক মহড়া চালিয়েছে তুরস্ক। গ্রিসও তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বিশাল কর্মস‚চি হাতে নিয়েছে। আগামী ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকের শীর্ষ এজেন্ডায় রয়েছে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যকার বিবাদের বিষয়টি। প্রসঙ্গত, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু এর আগে বলেছিলেন, পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে বিরোধ মেটাতে গ্রিসের সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে আঙ্কারা। তবে গ্রিসকেও আন্তরিকতার সঙ্গে নিঃশর্তে আলোচনায় বসতে হবে। আনতালিয়া শহরে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেছেন, তুরস্ক সঠিক অবস্থানে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যাদের অবস্থান সঠিক থাকে আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে তাদের মনে ভয়-ভীতি কাজ করে না। তিনি বলেন, তুরস্ক কোনো দেশের সম্পদ ও অধিকার হরণ করার পক্ষে নয়। ডেইলি সাবাহ, ডয়চে ভেলে,পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।