পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডাক বিভাগের অধীনে পরিচালিত সঞ্চয় ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। ৩১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ব্যাংকটির রিকনসিলেশন কিংবা হিসেবের সামঞ্জস্য বিধান। এই সুযোগে ডাক বিভাগের অধীনে পরিচালিত (অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ ব্যাংকটির কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। লোপাট হওয়া অর্থের পরিমাণ শত শত কোটি নাকি শত-সহস্র কোটি-পরিমাপও করতে পারছেন না কেউ।
সম্প্রতি উদ্ঘাটিত আত্মসাতের কয়েকটি ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে বিশেষজ্ঞদের। একের পর এক আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়লেও এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কেও এ তথ্য অবহিত করা হয়নি বলে জানা গেছে। ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র (এসএস ভদ্র) ৩১ বছরের পদ্ধতিগত ত্রুটি বন্ধে কোনো উদ্যোগই নেননি। বরং বিদ্যমান নৈরাজ্যের সুযোগ নিয়ে তিনি নিজেই প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকার মচ্ছবে মেতে ওঠেন। বন্ধ রাখেন অভ্যন্তরীণ অডিটও।
ডাক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে নোয়াখালীতে নূর করিম নামে এক পোস্টাল অপারেটর পোস্ট অফিস থেকে ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ডাকঘর চট্টগ্রাম জিপিওতে সঞ্চয়-৬ শাখার পোস্ট মাস্টার নূর মোহাম্মদ এবং সঞ্চয় শাখার কাউন্টার-১ এর পোস্টাল অপারেটর মো. সরওয়ার আলম খান ধরা পড়েন গত ২৬ আগস্ট। পোস্ট মাস্টার ড. মো. নিজামউদ্দিনের আকস্মিক অডিটে ধরা পড়ে বেনামী পাস বইয়ের মাধ্যমে ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তারা। ঘটনার তদন্তে দেখা যায়, ওই শাখায় ২৩ কোটি টাকারও বেশি বেনামী পাস বইয়ে তুলে নেয়া হয়েছে। এর ২০০৫ সালে রংপুর বিভাগীয় ডাক ঘরে প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়। ওই ঘটনায় চাকরি চলে যায় আত্মসাতকারীর। একের পর এক আত্মসাতের ঘটনা ঘটলেও বন্ধ করা হয়নি আত্মসাতের পথ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ডাক বিভাগের যে কোনো অফিসে যখন কোনো জালিয়াতি কিংবা অর্থ আত্মসাতের ঘটনা উদ্ঘাটিত হয় তখন তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়বে অবহিত করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম জিপিওতে সঞ্চয় ব্যাংকের ২৩ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ ও জালিয়াতির বিষয়ে মন্ত্রণালয় অদ্যাবধি কিছুই জানে না। ঢাকা জিপিওতে মানি অর্ডারের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। বেরিয়ে যাচ্ছে অপরিমেয় অর্থ : সঞ্চয়পত্রের টাকা জমা নেয় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক। সঞ্চয় ব্যাংকে দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটি হচ্ছে সাধারণ হিসাব। অন্যটি মেয়াদী হিসাব। অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা সঞ্চয় ব্যাংকে অর্থ জমা করেন। সঞ্চয়পত্র বিক্রির অর্থও হিসেবে নম্বরে জমা হয়। এই অংক ৫ লাখ ১০ লাখও হতে পারে। দু’ধরনের একাউন্ট হোল্ডার রয়েছে ডাক ঘরের সঞ্চয়ী ব্যাংকে। সাধারণ হিসাব। আরেকটি মেয়াদী হিসাব। সঞ্চয় ব্যাংকে গ্রাহক টাকা জমা দেন। সঞ্চয়পত্র বিক্রির টাকা। ৫/১০ লাখ টাকা করে টাকা জমা দেয়। সাধারণ হিসেবেও ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দেন। মানি অর্ডারের টাকাও জমা হয়। আছে পার্শ্বেলের অর্থ। ই.কমার্সের আওতায় ভিপি মানিঅর্ডারের টাকা, সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, মানি অর্ডার, স্ট্যাম্প বিক্রি, ফরেন আর্টিকেল বুকিংয়ের অর্থও জমা হয় ডাক ঘরে।
সারাদেশে ডাক বিভাগে জমা পড়া মোট অর্থের পরিমাণ শত শত কোটি টাকা। বিধি অনুযায়ী, প্রতিদিন বিভিন্ন খাতের কি পরিমাণ অর্থ ডাকঘরে জমা পড়ল একটি হিসাব হয়। প্রতিদিনের হিসাব প্রতিদিন সম্পাদন হয়। বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তি এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ পরিশোধের পর বিশাল অংকের অর্থ ডাকঘরেই রয়ে যায়। এ অর্থ (অথরাইজড ব্যালেন্স) থেকে পরের দিন অফিস পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা হয়। একদিনের অফিস খরচ রেখে বাকিটা নিকটস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা কিংবা সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারিতে রেখে দেয়া হয়।
পোস্ট অফিসে কর্মরত দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রতারক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সুযোগটিই কাজে লাগান। অর্থ আত্মসাতের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা নামে-বেনামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর খুলে ‘পাস বই’ নেন। সেই পাস বইয়ে বিভিন্ন তারিখে ১০/২০ লাখ টাকা ‘এন্ট্রি’ দেখান। পাস বইয়ে এন্ট্রির বিপরীতে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতারক কর্মকর্তা-কর্মচারী একই অংকের টাকা লেজারে ‘জমা’ দেখান।
প্রতিটি একাউন্ট হোল্ডারের নামে লেজারবুক পেইজ খোলা হয়। লেজারবুকটি ম্যানুয়াল। প্রতারক কর্মকর্তা-কর্মচারী পাস বইয়ে এন্ট্রির বিপরীতে লেজার বুকের পাতায়ও সমপরিমাণ অর্থ এন্ট্রি করান। পাস বইয়ে এন্ট্রি থাকলে লেজার বইয়েও সেটি এন্ট্রি হতে বাধ্য। কিন্তু অপরিমেয় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার হাতিয়ারটি হচ্ছে ওইদিনের ‘সিডিউল’ বা ‘জার্নাল’। পাস বই এবং লেজারে উল্লেখ করা হলেও দৈনন্দিন অর্থ জমা পড়া কিংবা উত্তোলনের কোনো তথ্য জার্নালে তোলা হয় না।
ডাক বিশেষজ্ঞরা জানান, কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে তিনটি ধাপ একত্রিত হয়ে। শুধুমাত্র সিডিউল কিংবা জার্নালে ওঠানো অর্থই সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। জার্নালে যত টাকা উল্লেখ করা হয়- কোষাগারে ততো টাকাই জমা দেয়া হয়। অর্থ আত্মসাৎকারী প্রথমে পাস বইয়ে টাকা ‘এন্ট্রি’ দেখান। পাস বইয়ে এন্ট্রিকৃত অর্থ লেজারে এন্ট্রি করান। কিন্তু জার্নার কিংবা সিডিউলে ওই অর্থ তোলেন না।
কিছু দিন পর তিনি উক্ত পাস দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করতে আসেন। পোস্ট অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী তখন পরীক্ষা করে দেখা হয়, তার পাস বইয়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে কি না। সেই পরিমাণ অর্থ লেজারেও এন্ট্রি আছে কি না। এ দু’টো বিষয় মিলে গেলে পোস্ট অফিস তাকে টাকা দিতে বাধ্য। কিন্তু অর্থ আত্মসাৎ করছেন ডাক বিভাগেরই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পাস বই এবং লেজার পরীক্ষার দায়িত্ব সহকারী পোস্ট মাস্টারের (এপিএম)। এযাবত সংঘটিত আত্মসাতের ঘটনাগুলোর সঙ্গে এপিএম নিজেই জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তিনি নিজেই বেনামে একাধিক পাস বই করেন। বই এবং লেজারে ভুয়া এন্ট্রি দেখিয়ে নিজেই তুলে নেন অর্থ।
ডাকঘরের কাউন্টার অপারেটর, লেজার অপারেটর এবং সহকারী পোস্ট মাস্টার যোগসাজশ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। ১ কোটি টাকা থেকে শুরু করে বেনামে পাস বইয়ে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও কোনো পর্যায়ে সেটি ধরার জো নেই। তদন্তেও এটি ধরা সম্ভব হয়ে ওঠে না অনেক সময়। কারণ, তদন্তে পাস বই এবং লেজার বই পরীক্ষা করা হয়। সিডিউল কিংবা জার্নাল পরীক্ষা করা হয় না।
ত্রুটি বন্ধের প্রকল্পের ১২০ কোটি টাকাই গচ্চা : ২৩ কোটি কিংবা মানি অর্ডারের ৮০ লাখ টাকাই নয়- এই পদ্ধতিতে ডাক বিভাগ থেকে বেরিয়ে গেছে শত শত কোটি টাকা। পরিমাণটি হতে পারে আরও বেশি। সুকৌশলে অত্যন্ত নিঃশব্দেই চলে আসছে এভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের ঘটনা। রংপুরে অন্তত: দেড়শ’ কোটি টাকা ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার ঘটনা উদ্ঘাটিত হয় ২০০৮ সালে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টির ওপর তদন্ত শুরু করে। তৎকালীন উপ-পরিচালক শিরীন পারভীনের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটি মাত্র ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা উদ্ঘাটন করে। ওই আত্মসাতের পরপর সিডিউল ছিঁড়ে ফেলা হয়। দুদকের পক্ষে ডাকঘরের দীর্ঘদিনের সিডিউল কিংবা জার্নাল পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অদৃশ্য ইশারায় ‘নিষ্পত্তি’ হয় অনুসন্ধানটি।
ডাক বিভাগ সূত্র জানায়,অর্থ আত্মসাতের দুয়ার খোলা রাখতে সুপরিকল্পিতভাবেই ডাক বিভাগে একটি ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ জিইয়ে রাখা হয়েছে। তবে অর্থ আত্মসাতের এই বিশাল গহ্বর ভরাট ১২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তৎকালীন অতিরিক্ত পোস্ট মাস্টার জেনারেল (পরিকল্পনা) একেএম সফিউর রহমান ছিলেন প্রকল্পের প্রধান। ওই প্রকল্পের আওতায় ডাক বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম অটোমেটেড হওয়ার কথা। সবকিছুই চলে আসার কথা সফটওয়্যারের আওতায়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে শুধুমাত্র ডাক সঞ্চয়পত্রগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়। কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সবচেয়ে বড় খাত ‘সঞ্চয় ব্যাংক’টিকে অটোমেশনের বাইরে রাখা হয়। সফটওয়্যার কেনা হলেও সেটি চালু করা হয়নি। গচ্চা যায় প্রকল্পের ১২০ কোটি টাকা।
রিকনসিলেশন বন্ধ ৩১ বছর : ব্যাংক কিংবা সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানেই ‘রিকনসিলেশন’ বা হিসেবের সামঞ্জস্য বিধান করতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসেবের সামঞ্জস্য বিধানের দায়িত্ব কম্পট্রোরাল অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএন্ডএজি)র। অডিটরের পক্ষে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিস (সিএও) এই রিকনসিলেশন করত। কিন্তু ডাক বিভাগে রিকনসিলেশন বন্ধ রয়েছে ১৯৮৭ সাল থেকে। কোনো কারণ না দেখিয়েই সিএন্ডএজি দু’বছর ডাকের রিকনসিলেশন বন্ধ রাখে। ১৯৮৬ সালে সাফ জানিয়ে দেয়, প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ডাক বিভাগের রিকনসিলেশন করা সম্ভব নয়। জনবল সঙ্কটের কারণেই তাদের এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়।
তবে এ চিঠির পর ডাক বিভাগের আর রিকনসিলেশন হয়নি। ফলে ডাক বিভাগের কোনো লেনদেনই এখন যাচাই হচ্ছে না। এতে অবারিত হয় ডাক বিভাগের হরিলুটের পথ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ডাক বিভাগের আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে না। আত্মসাতে জড়িত অসাধুচক্রের ভাগ-বাটোয়ারায় গন্ডগোল হলেই সেটি জানাজানি হয়। তখনই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জালিয়াতি ও আত্মসাতের ঘটনা ধরার কোনো মেকানিজম, পদ্ধতি কিংবা কোনো সফটওয়্যার নেই।
শত শত কোটি টাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রকল্পের আওতায় যন্ত্রপাতি কেনা হলেও জালিয়াতি-আত্মসাৎ বন্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক অটোমেটেড করার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এটির বাস্তবায়ন হওয়ার পরও সুফল পেতে লেগে যাবে কয়েক বছর।
নৈরাজ্যের বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ইনকিলাবকে বলেন, ডাক বিভাগ ডাক বিভাগের মতোই চলে। আমি এসে যা দেখেছি তাহলো প্রতিষ্ঠানটির পুরো ক্ষেত্রে যে নজরদারি-খবরদারি দরকার সেটি পুরোপুরি উপস্থিত নয়। মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাই। হয়রানির খবর পাই। অতীতে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে হয়তো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। কিন্তু স্থায়ী সমাধান মিলবে না। আমরা চেষ্টা করছি স্থায়ী সমাধানের। তাই ডাক বিভাগের সর্বত্র ডিজিটালাইজ করছি।‘জালিয়াতি-আত্মসাৎ বন্ধে ১২০ কোটি টাকার একটি অটোমেশন প্রোগ্রাম নেয়া হয়েছিল। সেটি ব্যর্থ হয়েছে’- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিক না থাকলে তো প্রকল্প ফেল করবেই। আমার প্রকল্প ফেল করবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ইনকিলাবকে বলেন, রিকনসিলেশন ছাড়া কোনো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছভাবে চলতে পারে না। এতে পাবলিক মানির নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তা থাকে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে রিকনসিলেশনের কোনোরকম ঘাটতি থাকে তাহলে অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এ ক্ষেত্রে যদি ওই প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনাল অডিট সিস্টেম অকার্যকর হয়ে পড়ে তাহলে দ্রুত এক্সটার্নাল অডিট ফার্ম নিয়োগ দিতে হবে। বিশেষ অডিট করাতে হবে। যেটির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনই হবে প্রতিষ্ঠানটির কোনো রকম লেনদেন যাতে রিকনসিলেশনের বাইরে না থাকে। ফার্মকে সহযোগিতা করার জন্য ইন্টারনাল টাস্কফোর্সও থাকতে পারে। এটিকে প্রকল্প হিসেবে নেয়া যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।