পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগের কার্যক্রম সীমিত হলেও কিছু কার্যক্রম এখনো গুরুত্ব হারায়নি। বিশেষ করে, মধ্যবিত্তের ব্যাংক হিসেবে এটি এখনও কাজ করে। কিন্তু সেখানেও গতবছর থেকে সঞ্চয় স্কিমের মুনাফার হার প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ নির্দেশনা দেয়, তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার এখন হবে ৬ শতাংশ, যা ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ঘটনাটি পেনশনভোগী, দরিদ্র, নিম্নআয় থেকে যতসামান্য জমা করে ভবিষ্যতে কিছু করার আশায় বেঁচে থাকা লাখ লাখ মানুষকে চরমভাবে আঘাত করে এবং এর পাশাপাশি ডাক বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিসহ সঞ্চয়ী ব্যাংকে লুট হওয়ার খবর যেভাবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে, তা দেখে সাধারণ মানুষ রীতিমতো আতংকিত হয়ে পড়ছে।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও তৎকালীন ডিজিকে ছুটিতে পাঠানো, কয়েকজনকে শাস্তিমূলক বদলি এবং মামলা রুজু করা হয়েছিল বটে কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের তেমন কোনো শাস্তি হয়েছে বলে শোনা যায়নি। রাষ্ট্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মতো ডাক বিভাগের এমন নৈরাজ্য নিয়ে সরকারের যেন কোনো মাথাব্যথাই নেই।
ডাক বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতির ওপর এক অনুসন্ধানে গতবছর জানা যায়, ভয়াবহ সব প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে এখানে। সারাদেশে ডাক বিভাগে জমা পড়া মোট অর্থের পরিমাণ শত শত কোটি টাকা। বিধি অনুযায়ী, প্রতিদিন বিভিন্ন খাতের কী পরিমাণ অর্থ ডাকঘরে জমা পড়ল, তার একটি হিসাব হয়। প্রতিদিনের হিসাব প্রতিদিন সম্পাদন হয়। বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তি এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ পরিশোধের পর বিশাল অংকের অর্থ ডাকঘরেই রয়ে যায়। এ অর্থ (অথরাইজড ব্যালেন্স) থেকে পরের দিন অফিস পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা হয়। একদিনের অফিস খরচ রেখে বাকিটা নিকটস্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা কিংবা সোনালি ব্যাংকের ট্রেজারিতে রেখে দেয়া হয়। পোস্ট অফিসে কর্মরত দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রতারক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সুযোগটিই কাজে লাগান। অর্থ আত্মসাতের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা নামে-বেনামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর খুলে ‘পাস বই’ নেন। সেই পাস বইয়ে বিভিন্ন তারিখে ১০/২০ লাখ টাকা ‘এন্ট্রি’ দেখান। পাস বইয়ে এন্ট্রির বিপরীতে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতারক কর্মকর্তা- কর্মচারী একই অংকের টাকা লেজারে ‘জমা’ দেখান। প্রতিটি একাউন্ট হোল্ডারের নামে লেজারবুক পেইজ খোলা হয়। লেজারবুকটি ম্যানুয়াল। প্রতারক কর্মকর্তা-কর্মচারী পাস বইয়ে এন্ট্রির বিপরীতে লেজার বুকের পাতায়ও সমপরিমাণ অর্থ এন্ট্রি করান। পাস বইয়ে এন্ট্রি থাকলে লেজার বইয়েও সেটি এন্ট্রি হতে বাধ্য। কিন্তু অপরিমেয় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার হাতিয়ারটি হচ্ছে ওইদিনের ‘সিডিউল’ বা ‘জার্নাল’। পাস বই এবং লেজারে উল্লেখ করা হলেও দৈনন্দিন অর্থ জমা পড়া কিংবা উত্তোলনের কোনো তথ্য জার্নালে তোলা হয় না।
কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে তিনটি ধাপ একত্রিত হয়ে। শুধুমাত্র সিডিউল কিংবা জার্নালে ওঠানো অর্থই সরকারি কোষাগারে জমা হয়। জার্নালে যত টাকা উল্লেখ করা হয়, কোষাগারে ততো টাকাই জমা দেয়া হয়। অর্থ আত্মসাৎকারী প্রথমে পাস বইয়ে টাকা ‘এন্ট্রি’ দেখান। পাস বইয়ে এন্ট্রিকৃত অর্থ লেজারে এন্ট্রি করান। কিন্তু জার্নাল কিংবা সিডিউলে ওই অর্থ তোলেন না। কিছু দিন পর তিনি উক্ত পাস দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করতে আসেন। পোস্ট অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী তখন পরীক্ষা করে দেখে, তার পাস বইয়ে টাকার পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে কি না। সেই পরিমাণ অর্থ লেজারেও এন্ট্রি আছে কি না। এ দু’টো বিষয় মিলে গেলে পোস্ট অফিস তাকে টাকা দিতে বাধ্য। এভাবেই বছরের পর বছর অর্থ আত্মসাৎ করছেন ডাক বিভাগেরই সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। ১ কোটি টাকা থেকে শুরু করে বেনামে পাস বইয়ে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও কোনো পর্যায়ে সেটি ধরার জো নেই। তদন্তেও এটি ধরা সম্ভব হয়ে ওঠে না অনেক সময়। কারণ, তদন্তে পাস বই এবং লেজার বই পরীক্ষা করা হয়। সিডিউল কিংবা জার্নাল পরীক্ষা করা হয় না। অর্থ আত্মসাতের দুয়ার খোলা রাখতে সুপরিকল্পিতভাবেই ডাক বিভাগে একটি ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ জিইয়ে রাখা হয়। অথচ, ডাক বিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম অটোমেটেড হওয়ার কথা। সবকিছুই চলে আসার কথা সফটওয়্যারের আওতায়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে শুধুমাত্র ডাক সঞ্চয়পত্রগুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়। অথচ, জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের সবচেয়ে বড় খাত ‘সঞ্চয় ব্যাংক’টিকে অটোমেশনের বাইরে রাখা হয়েছে।
৩৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ডাক বিভাগের অধীনে পরিচালিত সঞ্চয় ব্যাংকটির রিকনসিলেশন কিংবা হিসাবের সামঞ্জস্য বিধান। অথচ, ব্যাংক কিংবা সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানেই ‘রিকনসিলেশন’ বা হিসাবের সামঞ্জস্য বিধান করতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাবের সামঞ্জস্য বিধানের দায়িত্ব কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএন্ডএজি)র। অডিটরের পক্ষে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অফিস (সিএও) এই রিকনসিলেশন করতো। কিন্তু ডাক বিভাগে রিকনসিলেশন বন্ধ রয়েছে ১৯৮৭ সাল থেকে। কোনো কারণ না দেখিয়েই সিএন্ডএজি দু’বছর ডাকের রিকনসিলেশন বন্ধ রাখে। ১৯৮৬ সালে সাফ জানিয়ে দেয়, প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ডাক বিভাগের রিকনসিলেশন করা সম্ভব নয়। জনবল সঙ্কটের কারণেই তাদের এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়। তার এই চিঠির পর ডাক বিভাগের আর রিকনসিলেশন হয়নি। ফলে ডাক বিভাগের কোনো লেনদেনই এখন যাচাই হচ্ছে না। এতে অবারিত হয় ডাক বিভাগের হরিলুটের পথ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ডাক বিভাগের আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে না। আত্মসাতে জড়িত অসাধুচক্রের ভাগ-বাটোয়ারায় গন্ডগোল হলেই সেটি জানাজানি হয়। তখনই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে জালিয়াতি ও আত্মসাতের ঘটনা ধরার কোনো মেকানিজম, পদ্ধতি কিংবা কোনো সফটওয়্যার নেই। এই সুযোগে ডাক বিভাগের অধীনে পরিচালিত (অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ ব্যাংকটির কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। লোপাট হওয়া অর্থের পরিমাণ শত শত কোটি নাকি শত-সহস্র কোটি তার পরিমাপ করতে এবং পদ্ধতিগত ত্রুটি বন্ধে কোনো উদ্যোগই নেননি কেউই।
দেশের হাজার-হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, রিজার্ভ চুরি-লুট, খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি-ঘুষের ভরা মৌসুমে, ডাক বিভাগের এই অনিয়ম লুটপাটের ভয়াবহ কর্ম বন্ধ না করে সাধারণ মানুষের নিরাপদ বিশ্বাসের স্থান ডাক বিভাগের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা সরকার দফায়-দফায় কমিয়ে চলছে বিভিন্ন সময়ে। এছাড়া ব্যাংকগুলোর দরিদ্রবান্ধব সঞ্চয়স্কিম, ওগুলোতো ‘নাই’ করে ফেলা হয়েছে বহু আগেই। সরকার নিজেই ধার দেনা করে চলছে বলে প্রচার এখন তুঙ্গে। গরিব বা সঞ্চয়পত্রে কেনা সাধারণ মানুষকে কোনো সেবা দিতে গিয়ে সরকার এ অবস্থায় পড়েনি। বিদেশে টাকা পাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশকে এই গরিবরা নেয়নি। ব্যাংক লুটও তারা করে না। পাচার-ঋণখেলাপিতেও জড়িত নয়। কম খেয়ে কম পরে কিছু সঞ্চয় করে তারা। কতো নির্দয় হলেই সেটার দিকেও হাত বাড়ানো সম্ভব?
একদিকে, যাদের হাতে টাকার থলি তারাই টাকার খোঁজে হয়রান। আরেকদিকে, লুটেরা শ্রেণির একের পর এক রাষ্ট্রীয় অর্থে থাবা। এতে সরকারের খরচ বেড়ে চলছে। আয়রোজগার কমছে। অভাবের ঘরে আবার চুরি-ছেচড়ামি, লুটপাট; এসবের সঙ্গে এক ধরনের আপোসরফা করলেও জনগণের সঞ্চয় ও বিনিয়োগের লাগাম টানার সিদ্ধান্তে অটল সরকার। একজন ব্যক্তির একসঙ্গে সর্বোচ্চ সঞ্চয়ের সীমা টানবে। সরকারের মোটা দাগের সিদ্ধান্ত হচ্ছে- পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগসীমায় লাগাম টানা হচ্ছে। এ তিনটি স্কিমে আলাদা একক ও যৌথ বিনিয়োগসীমাও কমানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ তিনটিতে মানুষ সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে থাকে। এর মধ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনায় মানুষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার বুঝেশুনেই এটি করছে। পুঁজিবাজারের অবস্থা ভালো না, ব্যাংকে সুদ কম। মানুষ অন্য কোথাও বিনিয়োগ করতে পারছে না। এখন সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগসীমা কমালে মানুষ সঞ্চয়ে উৎসাহ হারাবে। মনে হচ্ছে, সরকার এটিই চায়। সরকারের চাওয়া এখানেই শেষ নয়। চাহিদা মেটাতে মাঝেমধ্যেই হাত দেয় ব্যাংকে। তারপর নতুন আইন করে হাত দিয়েছে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর অর্থে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থের স্থিতি প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা। সরকার স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে নিয়ে যাওয়ার আইন পাস করেছে। এখন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শেয়ার পুঁজিবাজারে দেওয়া হচ্ছে ব্যাংকের হারানো তহবিলের ঘাটতি কমাতে। অথচ, ব্যাংকের টাকা যারা নিয়ে গেল, তাদের ধরার নাম নেই। এখন সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানোয় দেশের দুর্বল অংশের সঞ্চয়ে হাত দেওয়া হচ্ছে। টাকার খোঁজে দিশেহারা সরকারের পাশে দাঁড়ানোটা সাধারণ নাগরিক হিসেবে তাদের যেন নৈতিক দায়িত্ব!
দেশে মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তরা সবচেয়ে বেশি বিপদের মুখে। বিশেষ করে, যখন বাজারে অযৌক্তিকভাবে কোনো পণ্যের দাম বাড়ে, তখন তারা সবচেয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়। তারা চাইলেই তাদের আয় হঠাৎ করে বাড়িয়ে তুলতে পারে না। তাদের একটি নির্দিষ্ট আয় দিয়েই সংসার নির্বাহ করতে হয়। বর্তমানে দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আয়ের সাথে ব্যয়ের হিসাব মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গ্রামগঞ্জ, শহরের ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারী ও ছোট ছোট চাকরিজীবীর বেঁচে থাকার ভরসার স্থল এই ডাকঘর সঞ্চয়পত্র। এ সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা অবসরপ্রাপ্ত নারী-পুরুষ, বিধবা মহিলা, কর্মজীবী মহিলা, মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ চাকরিজীবী-যারা ‘ট্রাকসেলের’ চালের জন্য লাইনে দাঁড়াতে পারেন না, সরকারের কোনো ভাতার তালিকাতেও নেই। সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকায় তাদের সংসার চলে। ছেলেমেয়েদের স্কুলের বেতন দেয়, ওষুধপত্র কেনে, বাজার-সদাই করে। এরা গরিবও নয়, ধনীও নয়- মধ্য বা নিম্ন মধ্যশ্রেণির। তারা ব্যবসা করতে পারে না, সরকারের কাছে হাতও পাততে পারে না। আবার সবাই শেয়ারবাজারে যায় না, যেতে পারেও না। আবার এই শ্রণির জন্য সরকারের কোনো সাহায্য-প্রকল্পও নেই।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।