পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি বাসায় আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ (৩৩) নামের এক ব্যারিস্টারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যদিকে আসিফের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, তিনি ৯ তলার বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। আসিফ সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলামের ছেলে। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাঁঠালবাগান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ১৬৩ নম্বর বাসায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদ সাংবাদিকদের জানান, চার বছর আগে আসিফ তার বড় বোন সাবরিনা শাহিদ নিশিতাকে বিয়ে করেন। তবে আসিফের পরিবার এটি মেনে নেয়নি। এ জন্য আসিফ কাঁঠালবাগানে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। তাদের কোন সন্তান নেই।
তিনি জানান, আসিফ ও সাবরিনার সঙ্গে মাঝেমধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। আসিফ মাদকাসক্ত ছিলেন। গত চার মাস আসিফ রিহ্যাবেও ছিলেন। গত রাতে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আসিফ নয় তলার বারান্দা থেকে লাফ দেন। পরে তাকে দ্রæত উদ্ধার করে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ভোরে আসিফকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আসিফ ও সাবরিনার মাঝে মাঝে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায়। সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে আসিফ। তিনি সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার ছিলেন। তার বাবাও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। তিনি পরিবারসহ মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের, রোড ১৭, সি বøকে থাকতেন।
এদিকে আসিফের বাবা শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আসিফ সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার এবং মতিঝিলে দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজারও ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকই গতকাল ভোরে খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে আসিফের লাশ দেখতে পাই। আমাদের সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করতে পারে না বলেও অভিযোগ করেন আসিফের বাবা শহিদুল।
কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র নিহতের স্ত্রীর বরাত দিয়ে জানান, আসিফ নিয়মিত বিয়ার খেতেন। গত রাতেও খেয়েছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। আসিফ রাতে বারান্দায়ই বসা ছিলেন। শেষ রাতে ৯ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদশর্ক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আসিফের ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানা পুলিশ কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।