পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে চুক্তি করেছে তা যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বার্থরক্ষা ছাড়া আর কিছুই করবে না। তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, এই চুক্তি থেকে একমাত্র এই দুই ব্যক্তি লাভবান হবেন, অন্য কেউ নন। বুধবার রাতে লেবাননের আল-মানার টেলিভিশনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়া এসব কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত যে চুক্তি করেছে তার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই চুক্তি ফিলিস্তিন কিংবা আরব আমিরাতের জনগণ- কারো স্বার্থই রক্ষা করবে না; এ থেকে শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু লাভবান হবেন। হামাস নেতা বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইল অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন এবং নতুন করে ভূখন্ড দখলের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই প্রেক্ষাপট থেকেই সম্প্রতি ফিলিস্তিনের বিভিন্ন দল এবং সংগঠনের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে জানান ইসমাইল হানিয়া। গত ১৩ আগস্ট ইসরাইল এবং আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি সই হয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন- ইহুদিবাদী লবিকে সন্তুষ্ট করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির দায়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে তা থেকে মুক্তির জন্য তিনি এই চুক্তিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। আল-মানার টিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।