বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. গিয়াস উদ্দিনকে (৪৪) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে আহত করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক নম্বর আসামি কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন বাবুর্চিকে (৩৫) বুধবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শাহিন গতকাল ওই মামলায় পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম মোহাম্মাদ শিহাব উদ্দিন জামিন নামঞ্জুর করেন।
শাহিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. মনিরুল ইসলাম ও মো. শহিদুল ইসলাম। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. আমিরুল ইসলাম।
এদিকে শাহিন কারাগারে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা গিয়াসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শাহিনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে শাহিনকে ছাড়িয়ে আনার জন্য হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেছেন,কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মিজান মোল্লার (৪২) নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল গতকাল দুপুরের দিকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (ওয়ালটনের শো-রুম) যান। তখন তাঁরা শাহিনকে না ছাড়িয়ে আনা পর্যন্ত আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য হুমকি দিয়ে যান। বিষয়টি তিনি বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মুঠোফোনে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা শঙ্কিত। এ বিষয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে মিজান মোল্লা বলেন,‘হুমকির অভিযোগ সত্য না। তবে কারাগারে থাকা শাহিনকে ছাড়িয়ে আনার জন্য বলেছি।’
ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘তাঁকে (গিয়াস) লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,পূর্ব বিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের প্যাদা রোড এলাকায় যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিনকে তাঁর বাসা থেকে যুবলীগ নেতা শাহিন ডেকে নিয়ে যান। পরে তিনি (শাহিন) ও তাঁর লোকজন গিয়াসকে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে যায়। অচেতন অবস্থায় গিয়াসকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পরে একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি শাহিনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ ব্যক্তির নামে আদালতে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।