বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনার পরও থেমে নেই আলমাস চেয়ারম্যানের অব্যাহত হুমকি। বুধবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী কয়েক দফা মহড়া দিয়েছে বলে জানা গেছে। সাংবাদিকদের দেখে নিবে এমন কথাও আলমাস চেয়ারম্যান বলে বেড়াচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মরত ৬৭ সাংবাদিক। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাংবাদিক ও তাদের পরিবার। রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের নিয়ে আলমাস চেয়ারম্যানের ফেসবুক পেইজে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। উল্লেখ, গত ৮ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটি হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলার আসামী আলমাস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে হামলা চালায়।
জানা গেছে, একসময়ের ছাত্রদল নেতা ও কিলার তোফায়েল আহম্মেদ আলমাস আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টে আওয়ামীলীগে যোগদান করে। সে একেক সময় একেক জনের দলে ভীড়ে কাজ করতো। গত ২০১৬ সালের নির্বাচনে হাইব্রীডখ্যাত আলমাস নৌকা প্রতীক নিয়ে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন। এরপর থেকেই সে বেপোরোয়া হয়ে উঠে। চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাধে গত সাড়ে ৪ বছরে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, টিআর-কাবিটা প্রকল্পের টাকা লোপাট, এলজিএসপির টাকা লোপাট, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির বদৌলতে ঢাকার অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি-গাড়ির মালিক বনে গেছে। একজন ইউপি চেয়ারম্যান হয়েও তিনজন অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তার এসব অপকর্ম নিয়ে রূপগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষিপ্ত ছিলো আলমাস চেয়ারম্যান।
এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে আলমাস চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে প্রেসক্লাবের ভেতরে থাকা কর্মরত সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে আলমাসের নেতৃত্বে হামলা চালায়। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে আলমাসের বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
এদিকে, হামলার ২৪ ঘন্টা পরও থেমে নেই আলমাস চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর অব্যাহত হুমকি। বুধবার সকালে তার সন্ত্রাসী বাহিনী মুড়াপাড়া মঠের ঘাট এলাকায় কয়েক দফায় মহড়া দেয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিক ও আশপাশের লোকজন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে রূপগঞ্জে কর্মরত ৬৫ সাংবাদিক ও তাদের পরিবার। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।