বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর বেনাপোল কোম্পানী বিজিবির সিপাহী মনিরুজ্জামানের নামে ভারত ফেরত বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীর মালামাল লুট ও ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ (৩১)। বাদীর আইনজীবী মো. রুহিন বালুজ জানান, পাসপোর্ট যাত্রী মাসুদ আহম্মেদের মালামাল লুট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী মাসুদ আহম্মেদের অভিযোগ, তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ভিসায় ভারতে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দেশে ফেরার সময় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের জন্য ১০টি শাড়ি, ১০টি পাঞ্জাবি, ১০টি ফুলপ্যান্ট, ২০টি চশমা এবং বিভিন্ন আইটেমের ৫ হাজার টাকা মূল্যের কসমেটিক নিয়ে আসেন। ওই পণ্যগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, বিজিবি চেকপোস্ট চেকিং, স্ক্যানিং ও ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করে ইজিবাইকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে বেনাপোলের সাদিপুর রাস্তার মোড়ের পূর্ব পাশে জিএম পরিবহন কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে আসামি বিজিবির সিপাহী মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেলে ইজিবাইকের সামনে এসে গতিরোধ করেন। এ সময় বাদীকে জোরপূর্বক মালামালসহ বেনাপোল কোম্পানী ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বাদীকে বাইরে রেখে ক্যাম্পের ভিতরে মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় আসামি বাদীকে বলে ‘এসব মালামালে সমস্যা আছে। আমাকে ৫০ হাজার টাকা দে তাহলে মালামাল ছেড়ে দিবো। বাদীর কাছে টাকা নেই জানালে আসামি বাদিকে গালিগালাজ শুরু করে। বাদি আসামির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবে বললে আসামি বাদিকে বলে যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে আমি ক্রসফায়ার করিবো অথবা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দিবো।’ এক পর্যায়ে বাদিকে তাড়িয়ে দেয়। উক্ত ঘটনা ক্যাম্পের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজিবি বেনাপোল কোম্পানীর সিপাহী মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কোন মালামাল জব্দ করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।’ অভিযোগের বিষয়ে ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল সাহেদ মো. মিনহাজ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন বিজিবি সদস্য কারোও সাথে মালামাল লুট করতে পারে না। বরং তারা উদ্ধার করে কাস্টমে জমা দেন। তবে যিনি মামলা করেছেন; ওনার প্রথমে উচিত ছিলো মামলা করার আগে আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করতাম। দোষী প্রমাণিত হলে ঔ বিজিবি সদস্যকে আইনানুগ ব্যবস্থার আওতায় আনা যেত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।