Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকান্ডঃ ১২ আসামীর দায় স্বীকার, জট খুলেনি প্রদীপের নিরবতা রহস্যের

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৫২ পিএম | আপডেট : ৬:৫৪ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনার প্রধান আসামী ইনস্পেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলালসহ গ্রেপ্তার হওয়া ১৩ আসামীর ১২ জনই তাদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই মামলার তদন্ত সংস্থা র‍্যাবের কাছে তাদের দোষ স্বীকার করার পাশাপাশি আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মামলার অন্যতম প্রধান আসামী টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ র‍্যাবের টানা ১৫ দিনের জিজ্ঞাসাবাদেও মুখ না খুলার রহস্যজট এখনো খুলেনি।

সর্বশেষ গতকাল নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের অপর চার সদস্যও। দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাদের আদালতে হাজির হয়। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড সম্পন্ন হয় আদালতে। এ চার আসামি হলেন, পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

এর মধ্যে দুই জন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত ও অন্য দুজন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব ১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসালাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই চার আসামী হত্যা রিমান্ডে হত্যা সম্পর্কে আমাদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলো। সেই স্বীকারোক্তি আদালতের কাছেও দিয়েছে। এই ১২ জন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৪ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালতের আদেশ পেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের এই চার সদস্যকে দ্বিতীয়দফা রিমান্ডের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে র‌্যাব। গতকাল বুধবার চার দিনের রিমান্ড শেষে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় আদালতে আনা হয়। এর আগে লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিলেও ওসি প্রদীপ দেয়নি। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। পরে সাতজনকে আসামী করা হয়। মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেজর সিনহা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ